দেশের খবর: ভোটের আগে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা ও সহিংসতার অাশঙ্কা করেছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে দেশের জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। নিজেদের মধ্যে তারা প্রাথমিক যোগাযোগ গড়ে তুলেছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছে, জঙ্গিরা ভিন্ন কৌশলে এবার হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। হামলায় তারা ব্যবহার এসিডের চেয়েও দাহ্য রাসয়নিক পদার্থ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গোয়েন্দাদের পাঠানো একাধিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্ভাব্য রাসায়নিক জঙ্গি হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বিশেষ ইউনিট গঠনের জন্য বিশেষ ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাসায়নিক হামলায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠনের জন্য। পাশাপাশি এছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সরঞ্জাম-ওষুধ মজুদ, অ্যাম্বুলেন্স সচল রাখা, অপারেশন থিয়েটারে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থার জন্য জেনারেটর সচল রাখা ও বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা টিমের সকল সদস্যের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের জালে চট্টগ্রামে জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা ধরা পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহত্তর চট্টগ্রামের কোনো অঞ্চল থেকেই এ হামলার সূত্রপাত হতে পারে। গোয়েন্দাদের এই সতর্কবার্তার পর পরই সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা ও সহিংসতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন। রোববার জেলার আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে তিনি গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো তুলে ধরে যে কোনো ধরনের সহিংসতা মোকাবেলায় ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিন।
এদিকে রাসায়নিক হামলায় আহতদের চিকিৎসায় পৃথক ইউনিট প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা সম্বলিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা, আখতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ধরনের একটি ইউনিট আমাদের এখানে আছে। এটাকে আরো আধুনিকায়ন করতে হবে।
ভোটের আগে জঙ্গিরা তৎপর, রাসায়নিক হামলার আশঙ্কায় গোয়েন্দারা
পূর্ববর্তী পোস্ট