খেলার খবর: পর্দা উঠছে এশিয়ার বিশ্বকাপ নামে খ্যাত এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের। আগামীকাল ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্বোধনী দিনের ম্যাচেই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। গত তিন বছরে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অবস্থা সন্তোষজনক, তবে প্রতিবারই তীরে এসে ডুবেছে তরী। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচ দিয়েই জয়যাত্রা শুরু করতে চায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ককে একটা বিদায়ী সংবর্ধনাও নিশ্চিতভাবে দিতে চাইবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এটাই যে মাশরাফির শেষ এশিয়া কাপ!
এশিয়া কাপের গত তিন আসর আয়োজিত হয়েছিল বাংলাদেশে। হয়তো কিছুটা ঘরের আবহাওয়া ও ঘরের মাঠের সুযোগ ব্যবহার করে এবং নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে ২০১২ ও ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ দল। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানে হেরে ভক্তদের কাঁদিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ফাইনালে ভারত বেশ দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। এবার বাংলাদেশ দল পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামার কথা থাকলেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে খেলোয়াড়দের নিয়ে।
দলে চোট পেয়েছেন তিনজন খেলোয়াড়। প্রথমেই ফিল্ডিং অনুশীলন করার সময় হাতে ব্যথা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। দল থেকে ছিটকে পড়েন চোট গুরুতর হওয়ার কারণে। তাঁর পরিবর্তে দলে যোগ দেন মুমিনুল হক। অন্যদিকে, সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চোটে ছিলেন জানুয়ারি থেকেই। অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন শিগগিরই, কারণ চোটের জন্য নিজেকে এশিয়া কাপের অনুপযুক্ত মনে করেন তিনি। তবে বিসিবি, দলনেতা মাশরাফি এবং কোচ স্টিভ রোডসের আশ্বাসে দলে থাকছেন সাকিব। এ ঘটনা চলাকালেই তামিম ইকবাল ফিল্ডিং অনুশীলনের সময় হাতে চোট পান। তবে তিনি খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। কারণ চোট ততটা গুরুতর মনে হয়নি বিসিবির কাছে। তাই চোট বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য।
পাশাপাশি রয়েছে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যাপার। দুবাইয়ের আবহাওয়া পাকিস্তানের চিরচেনা হলেও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কাছে স্বাভাবিকভাবেই একটু গরম অনুভূত হবে। ফলে গরম আবহাওয়ায় খেলে বাংলাদেশকে জয় ছিনিয়ে আনতে পরিশ্রম করতে হবে একটু বেশিই। অন্যদিকে, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের বিজয়ী দল ছিল শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় তাঁদের দল থেকে চলে গেলেও দলে রয়েছেন অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। প্রায় এক বছর পর দলে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়ে আসার পেছনে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট, যেকোনো মূল্যে এশিয়া সেরার মুকুট পরতে চাইবে তারা। শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ। তাই পুরোনো ছাত্রদের ভালোভাবেই জানেন তিনি।
সবকিছু মিলিয়েই কাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভক্তদের প্রত্যাশা এবং দলের সামর্থ্য, সবকিছু নিয়ে জিততে চাইবে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে টুর্নামেন্টজুড়েই আত্মবিশ্বাসী থাকবে বাংলাদেশ, এমনটি মনে করেন স্বয়ং অধিনায়ক মাশরাফিও। নিজেদের কতটা উজাড় করে খেলতে পারে বাংলাদেশ, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা।