নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌকার স্বপক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষে নজরুল ইসলামের নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা পৌর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আয়োজনে চালতেতলা বাজারে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে ও কুরবান আলীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শাহাজাহান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মনিরুল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়লা পারভীন সেজুতি, পৌর কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহেদুজ্জামান টিটু, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ শাহাবাজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের কার্যকারী সদস্য সবুর খান, কামরুল ইসলাম, আঃ মুজিদ, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি খালেক মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গফ্ফার ডাক্তার, আওয়ামীলীগ নেতা আঃ হাকিম, আবুল খায়ের কচি, কবির হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, রহিম, সুফল, মন্টু মিয়া, আঃ মুজিদ, কালাম, আবুল হোসেন, যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, কুখরালী আমতলা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি বাবু রবিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নুর মনোয়ার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শুকুর মাহমুদ, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম প্রমুখ। সভায় নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যা করে তারা আর যাইহোক দেশের উন্নয়ন করতে পারে না। ২০১৩ সালে যারা ধর্মের নামে দেশকে অশান্ত করেছিল আজও তারা স্বোচ্ছার আছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করার পায়তারা করে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশ স্বাধীন হতে দিতে চাইনি, দেশে যুদ্ধাপরাধী মুলক কর্মকান্ড করেছে তারাই ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করেছিল। সেই জামাত বিএনপির দোশররা আজও পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করতে। এদেরকে প্রতিহত করতে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নারীদের আর গৃহবন্দী করে ঘরে আবদ্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। কেননা সরকার নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনে সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু তৈরী করে দিচ্ছেন। বাংলার মানুষ যাতে অন্ধকারে না থাকে সেজন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। বিগত সকল সরকারের চেয়ে শেখ হাসিনা সরকার সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনা সরকার খাদ্য বান্ধব সরকার। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জন করেছে। দেশের কোনো মানুষকে আর খাদ্যের অভাবে মৃত্যু বরণ করতে হয়না। কোনো মানুষকে আর না খেয়ে ঘুমাতে হয় না। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, রাস্তাঘাট, বিদ্যু সহ এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়ননের ছোয়া লাগেনি। নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতিক। দেশের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হলে আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট