অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ার একটি স্কুলে ৬৫ জন হিন্দু শিক্ষার্থীর মাঝে গরুর মাংসের খিচুড়ি বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের ঘটনাটি রবিবার সকালে জানাজানি হয়। এরপর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হান্নানকে (৪৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি,শুধু খাসির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী ও অন্যরা জানান, শনিবার শহরতলির পীরগাছা এএফ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মা সমাবেশের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে সংসদে নবনিযুক্ত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর প্রধান অতিথি ছিলেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা ওই অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য সাদা ভাত, মাংস ও মাছ এবং ছাত্রীদের জন্য ৩০০ প্যাকেট খিচুড়ি করা হয়। ওই খিচুড়ি ৬০-৬৫ জন হিন্দু ছাত্রীকেও দেওয়া হয়। রবিবার সকাল থেকেই এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়, হিন্দু ছাত্রীদের মাঝে গরুর মাংসের খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নানকে আটক করেন। খবর পেয়ে বেলা ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আশ্বাস ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করলে তারা শান্ত হন।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য পীরগাছা বাজার থেকে ৭ কেজি গরুর মাংস কেনা হয়। এর মধ্যে ৪ কেজি অতিথিদের জন্য এবং ৩ কেজি দিয়ে শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে।
তবে প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান দাবি করেছেন, খাসির মাংস দিয়েই খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেছেন, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা ও বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। খিচুড়িতে গরুর মাংস ছিল না কিনা সে সম্পর্কে তদন্ত চলছে।
হিন্দু শিক্ষার্থীদের গরুর মাংসের খিচুড়ি বিতরণ, প্রধান শিক্ষক আটক
পূর্ববর্তী পোস্ট