অনলাইন ডেস্ক: মন্ত্রিসভার সিদ্ধন্তে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি হওয়ায় ৪০তম বিসিএসে কোটা রাখছে না সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি।
কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোটা নিয়ে সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত আমরা অনুসরণ করব। ফলে ৪০তম বিসিএসে কোটা পদ্ধতি থাকবে না। তবে ৩৯তম বিসিএসে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।”
প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে এক হাজার ৯০৩টি পদে নিয়োগ দিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি, যাতে সব ধরনের কোটা পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছিল।
এই বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭২ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৪৬৫ জন এবং অন্যান্য ক্যাডার মিলিয়ে মোট এক হাজার ৯০৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
৪০তম বিসিএসে অংশ নিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে তা জমা দিতে পারছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।
মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন,প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ইতোমধ্যে যেসব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে যদি বলা থাকে যে ‘কোটার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সে অনুযায়ী হবে’, তবে ওইসব নিয়োগেও কোটার বিষয়টি থাকবে না।
এদিকে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার অনলাইন আবেদনপত্র পূরণে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিতে হেল্পলাইন চালু করেছে পিএসসি।
০১৫৫৫-৫৫৫১৪৯, ০১৫৫৫-৫৫৫১৫০, ০১৫৫৫-৫৫৫১৫১ এবং ০১৫৫৫-৫৫৫১৫২ নম্বরে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফোন করে আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা নেওয়া যাবে।
আগামী ১৫ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই হেল্পলাইন চালু থাকবে।