অনলাইন ডেস্ক: ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাজুতা দিউয়েকার প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ আচার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আচার নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ভুল ধারণা এবং ভয় দূর করতে মজার এই খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তিনি।
ধারণা: আচারের তেল ও লবণ খারাপ
আসল বিষয়: আচারের তেল ও লবণকে অনেকেই ভয় পান। অস্বাস্থ্যকর মনে করে এড়িয়ে চলেন। তবে এই তেল আর লবণ অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আচারের তেল ও লবণ না খেলে খাবারটির কোনো উপকারই উপভোগ করা যায় না।
ধারণা: রক্তচাপ বাড়ায়
আসল বিষয়: আচারে থাকা অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করেন অনেকেই। তবে বাস্তবতা হল, চিনি খাওয়ার সঙ্গে ডায়বেটিস হওয়ার যেমন কোনো সম্পর্ক নেই, তেমনি এই লবণও রক্তচাপ বাড়াতে কোনো ভূমিকা রাখে না।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ঘুমের অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি হল উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। এছাড়াও আচার বানাতে বিট লবণও ব্যবহার করতে পারেন।
ধারণা: আচারের তেল ভালো না
আসল বিষয়: আচারের তেল খাওয়াকে অস্বাস্থ্যকর মনে হতেই পারে। তেল হল এক ধরনের চর্বি। আর সব চর্বি অস্বাস্থ্যকর নয়। বরং চর্বি হল শরীরের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
বিভিন্ন ধরনের চর্বির সঠিক মাত্রা এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তেল স্বাস্থ্যহানী নয় বরং স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সরিষা, বাদাম ও তিলের তেল বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজুতা দিউয়েকার।
ধারণা: আচার অস্বাস্থ্যকর
আসল বিষয়: ঘরে তৈরি আচার মোটেই অস্বাস্থ্যকর খাবার নয়। এতে থাকে খনিজ, ভিটামিন, উপকারী ব্যাকটেরিয়া। প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ আচার খেলে পেট ফোলা ও রক্তশূন্যতা দূরে থাকবে। বাড়বে ভিটামিন ডি ও বি টুয়েলভের মাত্রা। আইবিএস’য়ের রোগীদের জন্য আচার বেশ উপকারী।
আসল বিষয়: আচার থেকে উপরের সব উপকারই মিলবে যদি সেটা ঘরে তৈরি আচার হয়। রাস্তার ধারে পাওয়া যায় এমন আচার মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।