অনলাইন ডেস্ক: চার প্রতিপক্ষকে ২৭ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয়পর্বে উঠেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই খেলা যেমন মোহিত করেছে ফুটবলপ্রেমীদের, তেমনি মুগ্ধ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন দলটিকে বৃহস্পতিবার গণভবনে ডেকে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংবর্ধনার পাশাপাশি লাল-সবুজের মেয়েদের প্রত্যেকের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।
গণভবনে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাকবাছাই পর্বের বিজয়ী দলের প্রত্যেক সদস্যের পাশাপাশি কোচ ও কর্মকর্তাদেরও ৫ লাখ টাকা করে উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণসহ ফুটবল ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে মেয়েদের পারফরম্যান্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সময় সুযোগ পেলেই মেয়েদের খেলা দেখার কথাও জানান তিনি, ‘আমাদের মেয়েরা সবক্ষেত্রেই ভালো করছে। মাঝে মাঝে আমার একটু খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়। যদিও সময় পাই না।’
‘আমার এই টিংটিং শুকনা মেয়েরা আর ওইদিকে দেখি বিদেশের ভালো ভালো সেই স্বাস্থ্যবান মেয়েরা। আমি বলবো সবাই খুব সাহসী ভূমিকা রাখে এবং খেলার পারফরম্যান্সও খুব ভালো। কাজে আমি এটা খুব প্রশংসা করি যে, এভাবে এগিয়ে গেলে আমরা ভবিষ্যতে খুব ভালো করতে পারবো।’ মেয়েদের প্রশংসায় ভাসিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথমপর্বে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে ভিয়েতনাম, লাওস, লেবানন, আরব আমিরাত ও বাহরাইনকে পেছনে ফেলে গ্রুপসেরা হয় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। এবার চ্যালেঞ্জ দ্বিতীয়পর্বের। সেখানে পরীক্ষায় পাশ হলে মূলপর্বে সুযোগ মিলবে।
কিশোরীদের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডাসহ দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপের আবিষ্কার। স্কুল পর্যায়ের এই আসরকেই নারী ফুটবলারদের উঠে আসার মূল মঞ্চ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে জানিয়েছেন, খেলাধুলার বিকাশে সবকিছু করবে তার সরকার।
‘খেলাধুলা বিকশিত করার জন্য যা যা করণীয় আমরা করবো। আমরা পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ১০ লাখ করে উপহার প্রধানমন্ত্রীর
পূর্ববর্তী পোস্ট