খেলার খবর: বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস ক’দিন আগেই বলেছিলেন কথাটা। মাশরাফি বিন মুর্তজার যোগ্য বিকল্প হতে পারেন সাইফউদ্দিন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫০ রানের ইনিংস খেলে গুরুর কথার যথার্থতাই কী প্রমাণ করলেন সাইফউদ্দিন? যেন মাশরাফি হওয়ার বার্তা দিলেন ২২ ছুঁই ছুঁই এই ক্রিকেটার।
রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ ১৪৪ ও সাইফউদ্দিন খেলেন ৫০ রানের ইনিংস।
দলের শীর্ষ দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে এই দু’জনের না থাকাকে সুযোগ হিসেবেই নিয়েছে বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্যাকআপ ক্রিকেটার তৈরিতে তরুণদের সুযোগের পথ মিলেছে। সেই সুযোগের অংশ হিসেবেই প্রথম ওয়ানডের একাদশে সুযোগ পান ফজলে রাব্বী ও সাইফউদ্দিন।
অভিষিক্ত ফজলে রাব্বী অবশ্য শূন্য রানে ফিরেছেন। ১৩তম বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকে শূন্য রান করেন তিনি।
ফজলে মাহমুদ রাব্বী ও সাইফউদ্দিন দু’জনের দিকেই চোখ ছিল সবার। ৩০ বছর পেরিয়ে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন রাব্বী। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত সৈনিক হলেও আন্তর্জাতিক অভিষেক বিব্রত রেকর্ডেরই সঙ্গী তিনি।
তবে সাইফউদ্দিন খেলেছেন ৬৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যা তার প্রথম ফিফটি। সপ্তম উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ১২৭ রানের জুটি উপহার দেন সাইফউদ্দিন। ১৩৯ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর, এক পর্যায়ে লড়াই করার পুঁজি নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
সাইফউদ্দিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে আগেই। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে তার মধ্যে আশা দেখেছিলেন সবাই। কিন্তু, নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারায় দলে জায়গা হারান। কিন্তু, ফের সুযোগ পেয়ে দারুণভাবেই নিজেকে মেলে ধরলেন এই তরুণ।
বিশেষজ্ঞ একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের কাছে যে চাওয়া, সেটাই পূরণ করলেন সাইফ। বোলিংয়ে কী করেন সেটি অবশ্য দেখার বিষয়। তবে ব্যাটিংয়ে পূর্ণ মার্কসই পাচ্ছেন তিনি।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা একজন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে ফিফটি। বাংলাদেশ তো এমন অলআউন্ডারের জন্যই অপেক্ষায়। এদিন সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা।
সাইফউদ্দিন এভাবেই নিজেকে মেলে ধরতে পারলে শুধু পেস বোলিং অলরাউন্ডারের হাহাকারই ঘুচবে না, বাংলাদেশ দল পেয়ে যাবে মাশরাফির বিকল্পও। সাইফউদ্দিন পারবেন তো?