অনলাইন ডেস্ক: প্রথম বিয়ে গোপন রেখে কুমারী সেজে দ্বিতীয় বিয়ে করার অপরাধে শাপলা আকতার লিলি (২৬) নামে এক গৃহবধূকে জেল-জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। তাকে দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার চতুর্থ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছমা মাহমুদ এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাপলা আকতার লিলি গাবতলী উপজেলার মহিষাবান গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। ২০১১ সালে শাজাহানপুর উপজেলার শেরকোল গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদের সঙ্গে বিয়ে হয়। ৪ বছর সংসার করার পর ২০১৫ সালে তিনি এ বিয়ে গোপন করে কুমারী সেজে গাবতলী উপজেলার ধোড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন মোল্লার ছেলে আপেল মাহমুদ রনিকে বিয়ে করেন। বিয়ের কথা জানাজানি হলে প্রথম স্বামী রাজু আহম্মেদ আদালতে লিলিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে গাবতলী মডেল থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম লিলিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বিয়ে গোপন করে কুমারী সেজে দ্বিতীয় বিয়ে করার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় গতকাল বুধবার বিকালে শুধু শাপলা আকতার লিলিকে এ সাজা দেন। লিলি পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারের পর থেকে তার সাজা কার্যকর হবে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহাদত হোসেন জানান, দ্বিতীয় স্বামী আপেল মাহমুদ রনিও আদালতে একই ধরনের মামলা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই মামলাতেও গত ৩ জানুয়ারি মাসে লিলিকে দেড় বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। দুই মাস সাজা ভোগের পর তিনি জজকোর্টে আপিল করে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান।