অনলাইন ডেস্ক: আকন্দ মাঝারি ধরনের ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ। ৮ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধুসর বর্ণের এবং কাণ্ড শক্ত ও কচি ডাল লোমযুক্ত। পাতা ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা উপরিভাগ মসৃণ এবং নীচের দিক তুলোর ন্যায়। ক্ষুদ্র বৃন্ত এবং বৃন্তদেশ হৃদপিণ্ডাকৃত। গাছের পাতা শাখা ভাঙলে দুধের মতো সাদা আঠা বের হয়। সাদা বা বেগুনি বর্ণের ফুল হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকন্দ জম্নে।
উপকারিতা/ লোকজ ব্যবহার: আকন্দ চুলের রোগ, ব্যাথা এবং বিষনাশে বিশেষ কার্যকরী। দাদ ও টাকপড়া নিবারক। আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে লাগালে দাত ব্যথা দুর করে এবং যোনিতে ধারণ করলে গর্ভপাত ঘটায়।
আকন্দ বাতের ব্যাথা নিবারক ও ফোলা অপসারক। আকন্দ পাতা ও হলুদের তৈরি বড়ি শোথ/ ফোলা/পাণ্ডু রোগ নাশক। এবং এর রস কৃমি নাশক হিসেবে কাজ করে।
কোন অংশ কীভাবে ব্যবহার করতে হয়:
অম্বল/এসিডিটি দেখা দিলে: ০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়।
পেট জ্বলা বা ব্যাথায় : আকন্দ পাতার সোজা দিকে সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের উপর রাখলে বা ছেঁক দিলে পেট কামড়ানো বা পেট জ্বালা বন্ধ হয়।
শোথ/ফোলা রোগে: আকন্দ বিশেষ উপকারী। ফোলাজনিত কারণে কোনো স্থান ফুলে উঠলে আকনদ পাতা বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
শ্বাস কষ্টে: আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুঁড়া করে তারপর আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর তা চুরুট বানিয়ে ধুমপান করলে শ্বাস কষ্ট ভালো হয়।
নিউমোনিয়াজনিত বেদনায়: আকন্দ পাতার সোজা দিক ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবণের পুটলি দিয়ে ছেক দিলে উপকার পাওয়া যায়
হজম শক্তি কমে গেলে: ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো আকন্দ মুল গুঁড়া করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।