অনলাইন ডেস্ক: চামেলী খাতুন। বাংলাদেশ প্রমীলা দলের ক্রিকেটার যিনি এক সময় মাঠ কাঁপিয়েছে। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই চামেলী দাপটের সাথে নিজের নৈপূণ্যতা দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সেই প্লেয়ার এখন অসুস্থ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
রাজশাহী নগরীর দরগা পাড়া এলাকায় ‘ক্রিকেটার চামেলী খাতুনের’ নাম বললেই যে কেউ চিনিয়ে দেবে তার পৈতৃক বাড়িটি। দুই জানালা এক দরজার জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরই এখন চামেলীর পরিবারের ঠিকানা।
রাজশাহীর এই কৃতি সন্তান জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে যে অবদান রেখেছেন, তাতে করে মানবিক আবেদন থেকে হলেও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন আগে। ২০১১ সালে জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা অলরাউন্ডার চামেলীর পরিবারকে বাঁচাতে হলে আগে তাকে সুস্থ্য করতে হবে।
অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ২৯ বছর বয়সী প্রমীলা ক্রিকেটারের। যে কারণে সর্বস্তরের মানুষকে সহায়তা করার অনুরোধও জানান চামেলী খাতুন।
অসুস্থ চামেলী খাতুনের এই খবর পৌঁছে গেছে সবার কানে। তার অসুস্থতার কথা শুনে পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চামেলী জানিয়েছেন, তার অসুস্থতার খবর শুনে তার সাথে যোগাযোগ করেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান ফোন দিয়েছেন, কাল পরশুর মধ্যে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান আমার সাথে কথা বলেননি। তবে তিনি অন্য একজনকে দিয়ে কথা বলেছেন। তিনিও সাহায্য করবেন বলেছেন। তাদের ধন্যবাদ। এছাড়া ফাহিম স্যারকেও ধন্যবাদ। তিনিও আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
পরিবারের সবাই তার উপরই নির্ভরশীল। তাই সবাইকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করে চামেলী বলেন, ‘দেখুন, আমি অনেক অসুস্থ। আমার বাবা-মা আছে। আমি একটা সরকারি চাকরি করি। আনসার-ভিডিপিতে। আমার বাবা-মা আমার ওপর নির্ভরশীল। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, আমার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।’
অসুস্থতার কারণে বেশ কষ্টের জীবন পার করছেন তিনি। ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না।
আগের জীবনে ফিরে পেতে সবার কাছে আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি এখন হাঁটতেও পারিনা। আমি চাই আমার আগের জীবনে ফিরে যেতে।’
চামেলী খাতুন ২০১১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটে সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে ক্রিকেট ছাড়তে হয়েছে তাকে। ২০১১ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ তিনি জাতীয় প্রমীলা দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তাকে বলেছেন অস্ত্রোপচার করাতে হলে আনুমানিক দশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।