নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকে (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা ২০১৮। সারা দেশের ন্যায় (১ নভেম্বর ২০১৮) তারিখ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের অধীনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের সাতক্ষীরা জেলায় জেএসসি পরীক্ষায় ২৩ টি কেন্দ্রে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩ শত ১৭ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় ১৩টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৬ জন। সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩ শত ৯৩ জন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪শত ৮৮ জন। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫শত ৮৫ জন। নবারুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪ শত ২৯ জন। জেডিসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শত ৮৮ জন। আবু বকর সিদ্দিক (রা:) ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত ১৪ জন। আগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শত ৮০জন অংশ নিচ্ছে।
কলারোয়া উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় কলারোয়া জি,কে, এম, কে পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭শত ১৬ জন। সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ৮০ জন। খোর্দ্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৬৩ জন। কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শত ৪ জন। জেডিসি পরীক্ষায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শত ৯৩ জন।
তালা উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় তালা সরকারি বি, দে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬ শত ৮ জন। কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৮৫ জন। খলীষখালি মাগুরা এসসি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৭০ জন। আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ৩০ জন। জেডিসি পরীক্ষায় তালা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ৬৬ জন। পাটকেলঘাটা আল আমিন ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শত ৬৫ জন।
আশাশুনি উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শত ৩২জন। দরগাপুর এম কে আর এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৬৩ জন। বুধহাটা বি বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শত ৫১ জন। বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ১৭ জন। জেডিসি পরীক্ষায় আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ১১ জন। গুনাকরকাটি আজিজিয়া খাইরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত ৮ জন।
কালিগঞ্জ উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৫শত ৭১ জন। নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শত ১১ জন। চাম্পাফুল আ.প্র. চ. মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শত ৯৩ জন। জেডিসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ নাছরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শত ৩৮ জন। নলতা মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ২৬ জন।
দেবহাটা উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় দেবহাটা সরকারি বি.বি.এম.পি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ৬ জন। পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৬ জন। জেডিসি পরীক্ষায় দেবহাটা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত ৩৮ জন।
শ্যামনগর উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় নকিপুর সরকারি এইচ, সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩ শত ৯০ জন। নওয়াবেকীঢ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ ষথ ৫০ জন। নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষর্থীর সংখ্যা ৯ শত ৬৬ জন। জেডিসি পরীক্ষায় শ্যামনগর কেন্দ্রিয় আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১৬ জন। নওয়াবেকী বিড়ালক্ষী কাদেরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শত ৮৩ জন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ২ শ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করার জন্য ফৌঃ কাঃ বিধির ১৪৪ ধারা জারী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশী করে কেন্দ্রে ঢোকানো হবে। যাতে পরীক্ষার্থীদের কাছে কোনো প্রকার অবৈধ কাগজপত্র সাথে না থাকে। ছাত্রীদের গেটে তল্লাশী না করে কোন একটি কক্ষে তল্লাশী করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রেরর আশ-পাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে সকল ফটোষ্টাট মেশিন পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সচিবগণ ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। পরীক্ষার্থীদের তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে জেল ও উপজেলা পর্যায়ের কেন্দ্রে সমূহে ডাক্তার নিয়োগ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের পানি খাওয়ানোর অজুহাতে কোন কর্মচারী হলে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে কক্ষের সামনে পানি ভর্তি কলস ও গ্লাসের ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ফোর্স নিয়োগ থাকবে। এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার সমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, পরীক্ষা নকলমুক্ত করতে জেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে ভাল ফলাফলের আশায় কোনো প্রকার অসাদুপায় অবলম্বন না করে সেজন্য অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
পূর্ববর্তী পোস্ট