খেলার খবর: ক্রিকেট ‘ক্যাপ্টেন্স গেম’। অধিনায়কই দলের সর্বেসর্বা। অন্য কোনো খেলায় অধিনায়কের এমন বিশাল ভূমিকা নেই। ক্রিকেটে দল সাফল্য পেলে সবার আগে উচ্চারিত হয় অধিনায়কের নাম। ব্যর্থ হলে কাঠগড়ায় প্রথমে অধিনায়কই।
মাঠ ও মাঠের বাইরে একজন অধিনায়কের ক্রিকেট-দর্শনের প্রভাব থাকে দলে উপর। বিশেষ গুণের অধিকারী না হলে সাফল্য পাওয়া হয়ে যায় কঠিন। বাংলাদেশের দুই সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসানের মাঝেও আছে বিশেষ কিছুগুণ। প্রথমজন অনুপ্রেরণাদায়ী, দ্বিতীয়জন কৌশলী। বাংলাদেশের নতুন কোচ স্টিভ রোডসের পর্যবেক্ষণ এমনই।
সাকিব চোটে পড়ায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিধাস ট্রফিতেও শুরুতে না থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে টি-টুয়েন্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন রিয়াদ। ইংলিশ কোচ রোডসের অল্পকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের তিন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
অধিনায়ক বদল হওয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শুরুতেই তিন অধিনায়কের প্রশংসা ঝরল কোচের কণ্ঠে।
‘এখন পর্যন্ত সাকিবকে আমি সবথেকে বেশি যোগ্য হিসেবে খুঁজে পেয়েছি কাজ করার ক্ষেত্রে। আমি এর আগেও অনেক অধিনায়কের সাথে কাজ করেছি। তবে সাকিব হল সব থেকে সেরা ট্যাকটিক্যাল অধিনায়ক। যার সাথে আমি কাজ করেছি। তার অসামান্য স্ট্রেন্থ রয়েছে। ম্যাশও দারুণ একজন মানুষ কাজ করার জন্য। সে সাকিবের থেকে ভিন্ন, সে প্যাশন এবং প্রাইডের জন্য খেলে। সাকিবও সেটি করে, তবে ম্যাশ সেটি প্রকাশ করতে পারে।’
‘সে(মাশরাফী) ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনেককিছু প্রত্যাশা করে এবং সে ক্রিকেটারদের সেরাটা বের করে আনতে পারে। সে একজন যোদ্ধা এবং দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সুতরাং আমি ম্যাশের সাথে কাজ করতে উপভোগ করছি। আর রিয়াদ এখন নতুন অধিনায়ক হয়েছে। তার সম্পর্কে খুব বেশি বলতে না পারলেও শুরুর দিকে আমরা কয়েকটি সংক্ষিপ্ত মিটিং করেছিলাম দল নির্বাচনের ব্যাপারে। আশা করি নির্বাচকেরা সেগুলো দেখভাল করবে। আশা করি তার(রিয়াদ) সাথে আরেকটি মিটিং করবো।’