অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি আদালত শিশু নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি, ধর্ষণ, প্রতারণা ও অবৈধ সম্পর্ক রাখার অভিযোগে একটি স্কুলের অধ্যক্ষ ও মালিককে ১০৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১৪ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
পেশোয়ারের হায়াতাবাদ থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ ও মালিক আত্তাউল্লাহ মারওয়াতকে গত মঙ্গলবার এই দণ্ডের আদেশ দেন আদালতের বিচারক ইউনিস খান।
ক্যাম্পাসে গোপন সিসি ক্যামেরা বসানোসহ স্কুলছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে এক স্কুলছাত্রের মামলায় ২০১৭ সালের জুলাইয়ে আত্তাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৫ জন ভুক্তভোগী ওই স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। একটি অভিযোগে দেখা যায়, তিনি ১৮ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের যৌন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে ও নগ্ন হতে বাধ্য করতেন। তাঁর মোবাইল ও ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ২৬টি ভিডিও পাওয়া গেছে। এবং এগুলোর ব্যাপারে তিনি স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।
যদিও স্কুলশিক্ষক বলেছেন, শখের বশে তিনি এগুলো করতেন। স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান, যৌন কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বহিরাগত নারীদের তিনি স্কুলে আনতেন।