অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেটের দিনবদলের সাক্ষী রাজিন সালেহ। একটা সময়ে জাতীয় দলে সবচেয়ে বড় ভরসার নাম ছিলেন সিলেটের এই ক্রিকেটার। ১৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ বলে দিলেন রাজিন।
শনিবার আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যু হিসেবে সিলেটের অভিষেকের দিনে আমন্ত্রিত ছিলেন সিলেটের সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাজিন সালেহ। এদিন মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ে প্রেসবক্সে উপস্থিত হন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য আলাপে ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন রাজিন।
আগমী সোমবার থেকে জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের খেলা শুরু হবে। কক্সবাজারে সিলেট বনাম ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ খেলে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন ৩৪ বছর বয়স রাজিন সালেহ।
শনিবার জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ টেস্টের মধ্য দিয়ে সিলেট ভেন্যুর যাত্রা শুরু হয়। এদিন পেশাদার ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে রাজিন বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, ক্রীড়া সাংবাদিকদের লেখনীতেই আমি রাজিন সালেহ হয়েছি। আমার পরিবার, বন্ধু স্বজনসহ সমর্থকদের জন্যই আমি আজকের রাজিন সালেহ। জাতীয় লিগে ম্যাচ দিয়ে আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’
পেশাদার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও রাজিন ক্রিকেটের সঙ্গেই থেকে যাবেন। সিলেটে নিজের একাডেমি বানিয়েছেন। নিজের একাডেমির তরুণ ক্রিকেটারদের নার্সিং করে যাবেন রাজিন। এ প্রসঙ্গে রাজিন বলেন, ‘ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে দেশের ক্রিকেটের জন্য কোচ হিসেবে কাজ করতে চাই।’
২০০৩ সালের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিত টেস্টে ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় রাজিন সালেহের। জাতীয় দলে সবশেষে টেস্ট খেলেছেন ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায়। পাঁচ বছরে খেলেছেন ২৪টি টেস্ট।
সাদা পোশাকের সাতটি ফিফিটির সাহায্যে ১ হাজার ১৪১ রান করেছেন রাজিন। ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৪৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে এক সেঞ্চুরি এবং ৬টি ফিফটির সাহায্যে ১ হাজার ৫ রান করেন তিনি। বল হাতে অফ স্পিনে টেস্টে দুই এবং ওয়ানডেতে ১৫টি উইকেট শিকার করেন সিলেটের এই ক্রিকেটার।
২০০৮ সালের পর থেকে জাতীয় দলের বাইরে থেকে খেলে গেছেন ঘরোয়া সব টুর্নামেন্ট। চলমান জাতীয় লিগেও খেলছেন তিনি।