স্পোর্টস ডেস্ক: গত মঙ্গলবার ধুমধামের সহিত নিজের প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। সেদিন সবার শুভেচ্ছাবার্তা ও অভিনন্দনে ভেসেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এ পেসার।
এবার তিনি ভাসছেন সবার প্রশংসায়। কেননা তিনি স্থাপন করেছেন তেমনই এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত। ধুমধাম করে নিজের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান পালনের পর ঘরের কাজের মেয়ের জন্মদিনটা পালন করতেও ভোলেননি এ গতিতারকা।
শনিবার (৩ নভেম্বর) তাসকিনদের বাসার কাজের মেয়ে কল্পনার জন্মদিন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা বাজতেই ঘরোয়াভাবে কেক কেটে ছোট্ট কল্পনার জন্মদিন পালন করেন তাসকিন ও তার পরিবার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাত ১২টা ২০ মিনিটে জন্মদিন পালনের ছবি আপলোড করেন তাসকিনের বাবা এম এ রশিদ। তিনি লিখেন, ‘শুভ জন্মদিন, কল্পনা।’
এরপর সেসব ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। রীতিমতো হয়ে যায় ভাইরাল। ফেসবুকের বড় বড় গ্রুপে ছড়িয়ে যায় সেসব ছবি।
এরপর সবাই প্রশংসায় ভাসান তাসকিনকে।
অথচ তাসকিনের বাচ্চা হওয়ার পরে ফেসবুকের তামাম জনতা হাস্যরসে মেতে উঠেছিল এ পেসারকে নিয়ে। রীতিমতো অতিষ্ঠ করে তোলা হয়েছিল তাসকিনকে।
সেই আক্ষেপ থেকেই তাসকিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এডমিন মাহফুজুর রহমান বাঁধন লিখেন, ‘খেলোয়াড়রা তো কাজের মেয়েকে খেতে দেয় না একসাথে নিয়ে যায় না। নানা সময় নানা লেখা হয় তাদের বিরুদ্ধে। (তাসকিন) ভাইয়ার বাসায় গেলে কোন দিন মনে হয়নি যে, কল্পনা তাদের আলাদা কেউ। ইভেন যত ছোট বড় মানুষ হোক না কেন। এক টেবিলে ভাত খায় তারা আর আজকে সেই কল্পনার জন্মদিন। বাকিটা আপনারা দেখে নিন। শুভ জন্মদিন কল্পনা।’
তাসকিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ পরিবারের সাথে রয়েছে কল্পনা। তাকে কাজের মেয়ের চেয়ে নিজেদের পরিবারের লোক ভাবতেই বেশি পছন্দ করেন তাসকিনরা। তাকে দিয়ে ভারী কোনো কাজও করানো হয় না। সবসময় তাকে পরিবারের অন্যান্য ছোট বাচ্চাদের মতোই আদর করেন সবাই।
শুধু তাই নয়, তাসকিন ও তার পরিবার কখনো বাইরে খেতে গেলে কিংবা কোথাও ঘুরতে গেলে পরিবারের সদস্যের মতোই কল্পনাকেও নিয়ে যান তারা। বাইরে থেকে কোনো কিছু কিনলে কল্পনার জন্য আনতেও ভোলেন না তাসকিন বা তার বাবা এম এ রশিদ।