খেলার খবর: সিলেটে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন বাংলাদেশকে ৩২১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম ও মিরাজের ঘূর্ণি জাদুতে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে ১৮১ রানে।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শেষভাগে ৬১ বল খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ২৬ রান তোলার পর আলোক স্বল্পতায় আগেই মাঠ ছেড়েছে দুই দল। এরফলে চতুর্থ দিন খেলা শুরু হবে সাড়ে ৯টায়। ক্রিজে আছেন ইমরুল কায়েস (১২) ও লিটন দাস (১৬)। শেষ দুই দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ২৯৫ রান।
জিম্বাবুয়ের সকালের শুরুটা ছিলো সাবধানি। ১৪০ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে থাকেন সফরকারী দুই ওপেনার ব্রায়ান চারি ও অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এই সাবধানি শুরুটা টেকে মাত্র শুরুর ১০ ওভার। উদ্বোধনী জুটিতে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন ওপেনার ব্রায়ান চারি। বোল্ড হয়ে ফেরেন ৪ রান করে।
দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর প্রাথমিকভাবে সেই ধাক্কা কাটে জিম্বাবুয়ের। ব্রেন্ডন টেলর আসার পর থেকে মেরে খেলতে থাকেন। খুব বেশি আগ্রাসী হওয়ার ফলটা পান হাতে নাতে। দলীয় ৪৭ রানে তাইজুলকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ইমরুল কায়েসের হাতে। ২৫ বলে ৪ চারে ২৪ রান করে ফেরেন টেলর।
প্রথম সেশনে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বড় লিড পেতে জিম্বাবুয়েকে সামাল দিচ্ছিলেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। প্রথম ইনিংসের মতো ভয়ানক হয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন দুজন। এই জুটিতে যোগ হয় ৫৪ রান। পথের কাঁটা হয়ে ওঠা এই জুটিটা ভেঙে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিরতির পর মাসাকাদজা প্রতিরোধের দেয়াল লম্বা করতে চেয়েছিলেন শন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে। প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি পেলেও এই ইনিংসে তাকে ব্যর্থ করে দিলেন মিরাজ। মাত্র ২ রানের জন্য আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। রিভার্স সুইপ করতে গেলে লেগ বিফোরের ফাঁড়ে পড়ে যান মাসাকাদজা। আম্পায়ার আঙুল তুললে ৪৮ রানে বিদায় নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
তার বিদায়ের পর শন উইলিয়ামসের বিদায় নিশ্চিত করেন তাইজুল। একইরকম রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ২০ রানে। নতুন নামা পিজে মুরকেও সুস্থির হওয়ার সুযোগ দেননি এই স্পিনার।শর্ট লেগে তার ক্যাচ তুলে নেন লিটন দাস। অবশ্য চোট নিয়ে এর পর মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পরিচর্যা নিয়ে আবার ফেরেন তারপর।
পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতিতে তাইজুলের ঘূর্ণি আগ্রাসনে কাবু হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের ব্যাটিং বিপর্যয় নিশ্চিত হয় সিকান্দার রাজার বিদায়ে। ২৫ রানে ব্যাট করতে থাকা মারকুটে এই ব্যাটসম্যানকে দারুণ ঘূর্ণিতে বোল্ড করেন তাইজুল। শেষ দিকে রেগিস চাকাভা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে স্কোর বোর্ডের পুঁজি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন। দলীয় ১৬৫ রানে এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান মিরাজ। বিদায় দেন ওয়েলিংটনকে। এরপর চাকাভাকে নাজমুল ব্যক্তিগত ২০ রানে তালুবন্দী করালে দ্রুত গতিতে চাতারাকে ফিরিয়ে লেজ ছেঁটে দেন তাইজুল। তার আগে মাভুতাকে ফেরান নাজমুল।
এই ইনিংসেও ৫টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ২৮.৪ ওভারে দিয়েছেন ৬২ রান। তিনটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও দুটি নাজমুল ইসলাম।