নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বুধহাটার বিবি.এম. কলেজিয়েট স্কুলে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, বুধহাটা বিবি.এম. কলেজিয়েট স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আইন ও আদালতের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন। অথচ অবৈধভাবে এ নিয়োগের বিরুদ্ধে বুধহাটা এলাকার মৃত. রমজান আলীর ছেলে নুরুজ্জামান জুলু গত ২৮ অক্টোবর’১৮ তারিখে আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে প্রধান শিক্ষক দাউদ আলীসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে দেং ৮৬নং মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ। ১২ নভেম্বর’১৮ এমামলার দিন ধার্য্য হয়। কিন্তু সুচতুর প্রধান শিক্ষক গত ৭ নভেম্বর’১৮ তারিখে আপত্তি দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
এদিকে আদালতে সময়ে চেয়ে আবেদন করে ওই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কৌশলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আগামী ১০ নভেম্বর শনিবার তড়িঘড়ি করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার দিন ধার্য্য করেন। এর প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেন।
এবিষয়ে নুরুজ্জামান জুলু বলেন, প্রধান শিক্ষক দাউদের নিয়োগও ছিলো অবৈধ। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তিনি অবৈধভাবে নিয়োগ পেলেও এখনো পর্যন্ত বেতন করতে পারেননি। অথচ তিনি একজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এবং বর্তমান কমিটির মেয়াদ আর মাত্র ১মাস অর্থ্যাৎ ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। যে কারণে এ পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি এ অবৈধ নিয়োগ স্থাগিত করে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রধান শিক্ষক দাউদ হোসেনের ব্যবহৃত ০১৭১৫৭৪৩৬১৫ নাম্বারে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কথা না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বুধহাটা বিবি.এম. কলেজিয়েট স্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট