অনলাইন ডেস্ক: শখের বসে ২৫ বছর বাম হাতের নখ কাটেননি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার অরুন কুমার সরকার (৩৪)। ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউপি’র লক্ষিপুর গ্রামের বাসিন্দা অরুন। তার বাবা রবীন্দ্রনাথ সরকার উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
১৯৯৩ সালে অরুন কুমার নখ কাটা বন্ধ করে দেন। তখন তার বয়স সবে ৮। অরুনের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন তার নখ রাখার ব্যাপারে প্রথম প্রথম বাধা দিলেও পরে মেনে নেন। কেন নখ কাটেননি এত বছর- জানতে চাইলে অরুণ ফিরে যান ২৫ বছর আগের সময়টাতে। জানান, তখন তিনি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। কয়েক সপ্তাহ নখ না কাটায় স্কুলের শিক্ষক তাকে নখ কাটার কথা বলেন। কিন্তু ছোট্ট অরুণের মাথায় খেলে যায় অন্য ভাবনা। অরুণ বলেন, তখন ভেবেছিলাম নখ আরও একটু বড় হলে কেমন লাগে দেখি! পরে মনে হলো ভালই তো লাগে! আর এভাবেই তার নখ বড় হতে থাকে।
বড় হওয়ার সাথে সাথে নখের প্রতি অরুনের ভালোবাসাও জন্মায়। সে ভালোবাসার কারণে আর কখনো নখ কাটতে চাননি । এদিকে, লোকমুখে শুনে অরুনের নখ দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে তার দোকানে ভিড় করেন।
অরুন কুমার সরকার জানান, হাতে নখ রাখার ব্যাপারটা হঠাৎ শখের বসেই হয়েছে। তার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। ধীরে ধীরে নখগুলোর প্রতি তার ভালোবাসা বেড়ে গেছে। আর কখনো নখগুলো কাটবেন বলেই স্থির করেছেন। যদি কোন কারণে এই নখের কোনো অংশ একটু ভেঙে যায়, তাতেই খুব কষ্ট পান বলেও জানান তিনি।
অরুন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময়ই ব্যবসাতে নামেন। ২০০৩ সালে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ফুলবাড়ীর লক্ষিপুর বাজারে কন্যা সন্তানের নামে কান্না ডিজিট্যাল ফটো স্টুডিও আছে। বর্তমানে ব্যবসা-সংসার বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অরুন।