রাজনীতির খবর: একাদশ সংসদ নির্বাচনে জোট শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে মহাসংকটে পড়েছে বিএনপি। তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৬৫টি আসন ছাড়তে চায় দলটি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের অন্যরা মিলে এতদিন ২০০ চাইলেও সেখান থেকে সরে এখনও তারা ১৫০ আসনের দাবি ধরে রেখেছে। এ অবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সাবেক সাংসদদের বাদ দিয়ে তাদের জন্য কিছু আসন ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ৩০০ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে এখন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তদবির ও লবিং সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দলটির হাইকমান্ড।
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জোটের শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে এখনও বৈঠকে বসা হয়নি। শিগগির নিজেদের মধ্যে এবং ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। সবার মত নিয়ে যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের জোটগত মনোনয়ন দেওয়া হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে এসেছে বিএনপি-জোট। সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। মনোনয়ন ফরম বিক্রি উপলক্ষে ১০ বছর পর বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরাও নমিনেশন ফরম বিক্রি করছে। একই সঙ্গে নির্বাচন আরও তিন সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সব দল মিলে যোগ্য ও বিজয়ী হওয়ার মতো শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলো বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অন্যদের বেলায় গুরুত্ব পাবে দল ও ব্যক্তিগত ভোটব্যাংকের হিসাব।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিজ দল ও ঐক্যফ্রন্টের আসন বণ্টনের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে। আনুষ্ঠানিক বৈঠক না হলেও এরই মধ্যে তারা হোমওয়ার্ক শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, এখন তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে আসন বন্টন। প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এটি মনে রেখে আসন বণ্টনের ব্যাপারে সব শরিককে সর্বোচ্চ উদারতা দেখাতে হবে।
সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এতদিন ১০০ আসন চাওয়ার কথা ভাবছিল। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কাছে বিজয়ী হওয়ার মতো সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির কাছে ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম ১৫, জেএসডি ১৫, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ১০ ও নাগরিক ঐক্য ১০টি আসন চাইবে। দাবি ৫০ আসন হলেও তাদের সর্বোচ্চ ১৫টি আসন দিতে চায় বিএনপি। অবশ্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলে আরও কয়েকটি আসন দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট :জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে। গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করতে রাজি নন। তবে দল ও জোট শরিকদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ঢাকা-৮ বা অন্য এক বা একাধিক আসনে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ বা ৩ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ মৌলভীবাজার-২ আসনে মনোনয়ন পাবেন। মফিজুল ইসলাম খান কামালের জন্য মানিকগঞ্জ-৩ ও জানে আলমের জন্য চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবে গণফোরাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডিও এর আগে ৩০ আসনের প্রস্তুতি নিলেও এখন ১৫টি চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে অথবা ঢাকা থেকে মনোনয়ন চাইবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন চান কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসন। সহসভাপতি তানিয়া রব ঢাকা-১৮ (উত্তরা), কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে ভোট করতে চান।
এ ছাড়া জেএসডির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটওয়ারীকে ঢাকা-১৪ (মিরপুর), সাবেক এমপি ও সিনিয়র সহসভাপতি এমএ গোফরানকে লক্ষ্মীপুর-১, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালকে লক্ষ্মীপুর-৩, উল্লাপাড়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু ইসহাককে সিরাজগঞ্জ-৪, জামালপুরের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির উদ্দিনকে জামালপুর-৪, জবিউল হোসেনকে চট্টগ্রাম-১০, মির্জা আকবরকে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া হবে।
ঐক্যফ্রন্টের আরেক শরিক নাগরিক ঐক্য এতদিন ৩০ আসন চাইলেও এখন চূড়ান্ত দরকষাকষির পর্যায়ে ১৫টি চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনিবন্ধিত এ দলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ বা ঢাকা-১৭ (গুলশান) আসনে মনোনয়ন চাইবেন। তার দলের অন্যতম নেতা এসএম আকরাম হোসেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে প্রার্থী হতে চান। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা মোমিনুল ইসলাম লিটন লক্ষ্মীপুর-১, নইম জাহাঙ্গীর জামালপুর-৩, ফজলুল হক সরকার চাঁদপুর-৩, ডা. নাজিম উদ্দিন গাজীপুর সদর, ছিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দীপু সিলেট-১ বা ৬, রবিউল ইসলাম খান সাতক্ষীরা-২, দিদারুল আলম বাবুল বাগেরহাট-৩, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহ-২, মোফাখুল ইসলাম নবাব রংপুর-৫, মোবারক হোসেন খান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে সর্বোচ্চ তিনটি আসন দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপি সূত্র। তবে তিনি ৫টি আসন দাবি করছেন। টাঙ্গাইল জেলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভোট ব্যাংক রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন। এর বাইরে কাদের সিদ্দিকী তার ভাই আজাদ সিদ্দিকীর জন্য টাঙ্গাইলের একটি আসনে ও দলীয় নেতা শফিউল ইসলামের জন্য নারায়ণগঞ্জে একটি আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশ (একাংশ) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের একটি আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি।
২০ দলীয় জোট :৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এর মধ্যে ঢাকা-১৫ বাদে ৪৫টিকে তাদের সম্ভাবনাময় আসন বলছে জামায়াত। ৩৫টি আসনে জোটের মনোনয়ন চায় দলটি। ঢাকা-১৫ আসনটি তারা দলের সেক্রেটারি জেনারেলের জন্য চাইছে। জোটের মনোনয়ন না পেলে কয়েকটি আসনে এককভাবে নির্বাচন করতে পারে তারা।
২০০১ সালের নির্বাচনে দলটিকে ৩০টি আসনে ছাড় দেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। সেই সময়ে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই প্রার্থী ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩৯ আসনে লড়াই করে তারা। বরগুনা-২ আসনে শেষ সময়ে বিএনপিকে সমর্থন জানায়। ৩৩টি আসনে জামায়াতের বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, সিরাজগঞ্জ-৪, চুয়াডাঙ্গা-২, ঝিনাইদহ-৩ এবং মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচটিতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সিরাজগঞ্জ-৪, চুয়াডাঙ্গা-২, ঝিনাইদহ-৩ আসনে জামায়াতের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। এসব আসনে তৃতীয় হয় বিএনপি।
জামায়াত গতবার যে ৩৩ আসনে জোটের মনোনয়ন পেয়েছিল এর মধ্যে রংপুর-১, রংপুর-২, শেরপুর-১ এবং ফরিদপুর-৩ আসনে এবার নির্বাচন করতে চায় না। ২০০১ ও ২০০৮ সালে শেরপুর-১ আসনে জোটের প্রার্থী ছিলেন জামায়াতের মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। ফরিদপুর-৩ আসনে প্রার্থী ছিলেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের ফাঁসি হয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, ২০০৮ সালের তালিকাকে ভিত্তি ধরে আসন বণ্টনের আলোচনা হবে বিএনপির সঙ্গে। সেবার জামায়াত ৩৮ আসনে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু জোটে শরিকের সংখ্যা বাড়ায় জামায়াত ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ৩৮ থেকে কতটি আসন জামায়াত ছাড়বে তা তিনি বলতে রাজি হননি।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, যে ৪৫টি আসনকে তারা সম্ভাবনাময় ও জয়ের উপযোগী মনে করছে তার তালিকা দেওয়া হবে বিএনপিকে। সেখান থেকে ৩৫টি চাইবে। বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হবে কোন ১০টি আসন তারা জামায়াতকে ছাড়বে না। এর মধ্যে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের আসনও রয়েছে।
জামায়াতের দাবি করা আসন ও তাদের প্রার্থীরা হলেন ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আবু হানিফ, দিনাজপুর-৪ আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন সাজু, রংপুর-৫ অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা-১ অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-৩ মাওলানা নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ ডা. আবদুর রহীম, জয়পুরহাট-১ ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, বগুড়া-২ অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৪ অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ড. কেরামত আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ নূরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী-১ মুজিবুর রহমান, নওগাঁ-৪ খ ম আবদুর রাকিব, সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৫ অধ্যক্ষ আলী আলম, পাবনা-১ আবদুল বাসেত, পাবনা-৫ ইকবাল হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা-২ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ-৩ মতিয়ার রহমান, যশোর-১ মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন, যশোর-৬ অধ্যাপক মুক্তার আলী, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-১ অধ্যক্ষ ইজ্জতউল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, পটুয়াখালী-২ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৫ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১০ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৬ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আজাদ।
২০ দলের বাকি ১৮ শরিক অন্তত ৫০ আসন চাইছে। এ জোটের অন্যতম শরিক এলডিপি এতদিন বিএনপির কাছে ২০টি দাবি করে আসছিল। এখন তারা ১০ আসন দাবি করবে। আসনগুলো হচ্ছে- এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ চট্টগ্রাম-১৪, রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, আবদুল করিম আব্বাসী নেত্রকোনা-১, মো. আবদুল্লাহ চাঁদপুর-৩, আবদুল গনি মেহেরপুর-২, নূরুল আলম চট্টগ্রাম-৭, এম এয়াকুব আলী চট্টগ্রাম-১২, কফিলউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬, মাহবুব মোরশেদ ময়মনসিংহ-১০। তবে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, এলডিপির সাবেক ছয় এমপিসহ ছয়-সাতজনকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
অনিবন্ধিত জাতীয় পার্টির (জাফর) দাবি অন্তত ১০ আসন। তাদের চারটি আসন ছাড়তে পারে বিএনপি। জোটের অপর শরিক বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসন চাইবেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্ত্রী ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধান পঞ্চগড়-২, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আবদুল কাদের এবং মুফতি ওয়াক্কাস মনোনয়ন পেতে পারেন। অনিবন্ধিত এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে নড়াইল-২ আসন দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এর বাইরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৩টি আসন পেতে পারে। বাকি দলগুলো আসন নাও পেতে পারে।