দেশের খবর: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দল থেকে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন দিয়েছি প্রায় ৮০০-র মতো। ২০-দলীয় জোটের শরিকদেরও দেওয়া হয়েছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছে। পরে যখন বাছাই হয়ে যাবে, তখন ঠিক করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। তাহলে কি শরিকদের সঙ্গে সর্বমোট আসন বণ্টন ৬০-এর বেশি হবে না? সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, মনে হয়।
২০-দলীয় জোটের শরিকদের কত আসন ছাড়ছে বিএনপি? এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সঠিক ফিগার বলতে পারব না। সম্ভবত অ্যারাউন্ড ফিফটিন।’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের কত আসন ছাড়া হবে? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন তারা তাদের দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছে। পরে এটা আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
২০-দলীয় জোটের মধ্যে বিজেপি, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, এনপিপি, লেবার পার্টি ও সাম্যবাদী দলকে আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্য থেকে ভোলা-১ আসনে বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ, নড়াইল-২ আসনে এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, চট্টগ্রাম-৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমদ, কুমিল্লা-৬ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সৈয়দ গোলাম মহিউদ্দিন, কুমিল্লা-৭ আসনে এলডিপির রেদওয়ান আহমেদ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, সুনামগঞ্জ-৩ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহীনুর পাশা, পিরোজপুর-২ আসনে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, গাইবান্ধা-৩ টি আই ফজলে রাব্বী, চাঁদপুর-৩ আসনে এস এম এম আলম, কুষ্টিয়া-২ আসনে আহসান হাবিব লিংকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে সেলিম মাস্টার ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নের জন্য প্রত্যয়নের চিঠি নিয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর। প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই ২ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহার করার শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর।