স্বাস্থ্য কণিকা: জলপাই একটি টকজাতীয় ফল। খোসাসহ খেতে হয়। খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে। আর পাকস্থলী ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, কোলনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
শুধু ফল হিসেবে নয়, এর তেল খুব স্বাস্থ্যকর। রান্না ও আচারের কাঁচা জলপাইয়ে পুষ্টি এতে বেশি। বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ বলেন, ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে থাকে ৭০ ক্যালোরি। এতে শর্করা ১৬.২ গ্রাম, খনিজ ৩.১ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি থাকে ৩৯ মিলিগ্রাম। যে কোনো বয়সের জন্য বিশেষ করে হৃদরোগী ও অস্ত্রোপচারের পর জলপাই খেলে উপকার পাওয়া যায়।
জলপাইয়ের ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘এ’ ত্বক, চুল, দাঁতের উজ্জ্বলতা ও পুষ্টি জোগায়। সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে। এ ছাড়া জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় লালচে ফোঁড়া এ সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে।
রক্ত চলাচল ঠিক রেখে হৃৎপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে অবদান রাখে জলপাই। পরিমাণে কমে যায় লাইপোপ্রোটিন। এ ফলে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট আছে, যা দেহের ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়।
জলপাইয়ের তেল রান্না করে খাওয়া এবং ত্বক দুটোর জন্যই খুবই উপযোগী। এই তেলে চর্বি বা কলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যে কোনো কাটা-ছেঁড়া ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য উপকারী জলপাই।