ডেস্ক: পরিবারের অমতে বিয়ে করায় পাকিস্তানের লাহোরে এক তরুণীকে নির্যাতনের পর মা নিজেই তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণীর লাশ কবর দিয়েছে তার শ্বশুরপক্ষের লোকজন।
পুলিশ জানায়, নিহত অষ্টাদশী জিনাত রফিকের শরীরে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। মা পারভিনকে (৫০) জিনাতের লাশসহ বাড়ি থেকেই আটক করা হয়। পারভিন এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও পুলিশের ভাষ্য, ‘পরিবারের কারো সাহায্য ছাড়া ৫০ বছর বয়সী একজন নারীর পক্ষে একা এ ধরনের কাজ করা সম্ভব বলে আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। ’ পুলিশ জিনাতের পালিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজছে।
সপ্তাহখানেক আগে জিনাত বাড়ি থেকে পালিয়ে হাসান খানকে বিয়ে করে এবং শ্বশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে। পরে জিনাতের মা বিয়ের অনুষ্ঠান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। জিনাতের চিত্কার শুনে প্রতিবেশিরা বিষয়টি থানায় জানালেও পুলিশ পৌঁছার আগে তার মৃত্যু হয়।
ভালোবেসে বিয়ে করার ব্যাপারে রক্ষণশীল পাকিস্তানে প্রায়ই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে। পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনের তথ্য মতে, গত বছর প্রায় এক হাজার ১০০ নারীকে একই কারণে স্বজনদের হাতে জীবন দিতে হয়। অনেক ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়।