নিজস্ব প্রতিবেদক :
আলীপুরে ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ নেতার মৎস্যঘের থেকে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার আলীপুর জাঙ্গালের পুলের মাথায় এঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঘেরের মালিক মৃত গোলাম রব্বানী মোড়লের ছেলে ও সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি নুরুল আলম জানান, আলীপুর মৌজায় এস,এ ২৯০৮ খতিয়ান, বি,এস ১৯৪৬ খতিয়ান, সাবেক দাগ ৯০৫,হাল ৬৮৪ দাগে ৮ বিঘা সম্পত্তির মধ্যে আড়াই বিঘা সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন। ওই সম্পত্তিতে পূর্বে নুরুল আলমের পিতা এবং তার বড় ভাই মৎস্যঘের পরিচালনা করতেন। সে কারণে উক্ত ঘেরের ভেড়ীবাধও নির্মাণ করেন তিনি। পরবর্তীতে নুরুল আলম উক্ত ঘেরে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর একই এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে জামায়াত নেতা সাদিকুর রহমান, হাফিজুর রহমান, ছায়িদুর রহমান, ময়না, আলীপুর মাঝেরপাড়া এলাকার রোহিল উদ্দীনের ছেলে জাল জালিয়াতির হোতা আবু হাসান, গং প্রভাব খাটিয়ে উক্ত ঘের থেকে নুরুল আলমকে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন লাভ হয়নি। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ম্যানেজ করে ওই অর্থলোভী সাদিকুরসহ তার অন্য ভাইয়েরা। উপায় না পেয়ে তিনি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং আগামী ১৮ জানুয়ারি’১৯ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে শুক্রবার সকালে জামায়াত নেতা সাদিকুর রহমান সিদ্দিক, হাফিজুর রহমান, ছায়িদুর রহমান, ময়না, আলীপুর মাঝেরপাড়া এলাকার রোহিল উদ্দীনের ছেলে জাল জালিয়াতির হোতা আবু হাসান গং একত্রিত হয়ে আমার মৎস্যঘেরে প্রবেশ করে মাছ ধরতে থাকে। নুরুল আলম বাধা দিতে গেলে তাকে খুন, জখমের হুমকি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়।এঘটনায় ভুক্তভোগী নুরুল আলম সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আলীপুরে ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ নেতার মৎস্যঘেরের মাছ লুটের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট