নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের প্রত্যাহার চেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
প্রত্যাহারের পাশাপাশি আইনানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয় ওসির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দিয়েছেন হাবিবুল ইসলাম।
এ সময় নৌকার পক্ষে ওসির ভোট চাওয়ার ভিডিও, অনুষ্ঠানে মহাজোটের প্রার্থী ও ওসির একই মঞ্চের ছবি, নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ভিডিও ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরা হয়।
হাবিবুল ইসলামের সই করা লিখিত অভিযোগ বলা হয়, ‘বেপরোয়া ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ আইনবহির্ভূতভাবে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত অ্যাক্রোবেটিক সার্কাস প্রদর্শন অনুষ্ঠানে মহাজোটের নৌকা প্রতীক মনোনীত ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ভোট চান ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ।’
অভিযোগে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে বর্তমান এমপি লুৎফুল্লাহ ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মদ স্বপন, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজীরহাট কলেজের প্রভাষক সুরাইয়া ইয়াসমীন রত্নার (বিধিবহির্ভূতভাবে) সঙ্গে একই মঞ্চে ওসি নৌকার পক্ষে এবং আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বক্তব্য দেন।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘‘ওসি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে একটি ম্যাসেজ দিতে চাই, আপনার ব্যালট, আপনি ভোট দিয়ে দেখিয়ে দেবেন, আপনি স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির সঙ্গে আছেন। আমাদের জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আপার একটি ব্যালট, আপনি একটি ভোট অতি মূল্যবান। আপনারা ভোট দেবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন’।’’
সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ করেন এই প্রার্থী।
হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ এত দিন বিএনপির প্রচারে বাধা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। আমি নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় এলাকা ছেড়েছি। বারবার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি।’
ভিডিওটি দেখতে নিচে ক্লিক করুন: