অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের দুটি এলাকায় বুধবার রহস্যময় আলোর ছবি আর ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে টুইটারে। টুইটারের এসব পোস্টে উত্তরের চেয়ে প্রশ্নই বেশি ছিল বলে খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিবিএস।
অবশেষে সেখানকার একটি অবজারভেটরি বা মানমন্দির এই আলোর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় ‘ল্যাসো’ বা দড়ির ফাঁস আকৃতির এই আলোয় ভরে গিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী স্যাক্রামেন্টোর আকাশ। এটিকে দেখতে লাগছিল গবাদি পশুকে বাঁধার জন্য ব্যবহৃত দড়ির মতো। কিন্তু, এই আলোর উৎস কী, তা নিয়ে নানান জন নানা মতামত দিতে থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ বলেন, এটা আঁতশবাজি। আবার কেউ সেই যুক্তি খণ্ডন করে জানান, মাটি থেকে এত উপরে এত বড় আঁতশবাজি হওয়া সম্ভব নয়।
আবার কেউ কেউ বলেন, এটা নিশ্চয় এলিয়েনদের পাঠানো কোনো সঙ্কেত। এমনকি এই আলোর কারণে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণও স্থগিত হয়েছিল।
‘দ্য স্যাক্রামেন্টো বি’-র রিপোর্ট অনুসারে, আকাশে হঠাৎ উদ্ভূত আলোর জন্য উপগ্রহ বহনকারী ডেলটা ফোর রকেটের উৎক্ষেপণ বুধবার বাতিল করা হয়। তার পরিবর্তে বৃহস্পতিবার উৎক্ষেপণ করা হয় ওই রকেটটি।
‘এনডব্লিউএস বে এরিয়া’ নামের একটি সংস্থা তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এটিকে উল্কা বলে আন্দাজ করেছিল। কিন্তু, তারাও তাদের মতামত সম্পর্কে শতভাগ শতাংশ নিশ্চিত ছিল না।
অবশেষে সব কৌতূহলের ইতি টানে ‘লিক অবজারভেটরি’ নামের একটি স্থানীয় মানমন্দির। তারা জানায়, ওই আলোটি ছিল একটি উজ্জ্বল ধূমকেতু।
এরপর ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি এফ সায়েন্সের মরিসন প্ল্যানেটরিয়াম এই ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছে। সিবিএস নিউজকে তারা জানিয়েছে, উজ্জ্বল একটি ধূমকেতু এসে পড়েছিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। ঘটনাটি ঘটেছে সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরেই। সূর্যের আলোয় তখনও আলোকিত হচ্ছিল ওই ধূমকেতুটি। সেজন্যই এ রকম উজ্জ্বল আলোক আবহ সৃষ্টি হয়েছিল।