দেশের খবর: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। তারা শুধু নিতে পারে। আর আওয়ামী লীগ শুধু দিতে জানে। যে পরিকল্পনা সামনে নেওয়া হয়েছে সে ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের ফের ক্ষমতায় আসা দরকার।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়। মানুষ কিছু পায়। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা জাতিকে কিছু দিতে পারে না। তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের মেয়াদে রাজধানীর দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। এক গাড়ি পানি কিনতে যেখানে দুইশ টাকা লাগার কথা সেখানে ১৫ টাকা দিয়ে কিনতে হতো। আর বিদ্যুতের লোডশেডিংই বেশি থাকত। বিদ্যুৎই ছিল না। রাস্তাঘাট, পয়ঃনিষ্কাশনের করুণ অবস্থা ছিল, একটা অসনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ যাতে নাগরিক সেবাটা ভালোভাবে পায়, যেহেতু জনসংখ্যা বেড়ে গেছে এবং প্রত্যেকেটা ইউনিয়নকে আমরা এই মহানগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছি। ১৭টি ইউনিয়ন, ঢাকাকে আমরা উত্তর এবং দক্ষিণ -এভাবে ভাগ করে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসায় আজকে উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। মানুষ সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে। সেইভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি সংসদীয় আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮টি আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে ঢাকা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা-১০ আসনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণায় থাকায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না।