দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজই প্রচার-প্রচারণা শেষ দিন। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে প্রচারণা বন্ধ হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকরা এই সময় পর্যন্ত প্রচার ও সভা-সমাবেশ করার সুযোগ পাবেন। ফলে আজ দিনটিই হচ্ছে তাদের প্রচারের শেষ দিন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর ভোট গণনা শেষে ফল প্রকাশ করা হবে। এক প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবার প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী অংশ নেয়ায় এবার একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
এদিকে গত দুই দিনে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে স্টাম্প প্যাড, অফিসিয়িাল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্টাপ পিন ইত্যাদি সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা-৫, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে ইভিএমের ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে এবং এসব কেন্দ্রে আজ সকাল ১০টা থেকে অনুশীলনমূলক মক ভোটিং চলছে।