দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতিমধ্যেই নির্বাচনে জয়ী সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গ্রেজেট প্রকাশের কাজও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথ পড়াতে হবে।
সূত্র জানায়, দু’একদিনের মধ্যেই নির্বাচিত সদস্যদের গেজেট জারি করবে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে এর প্রস্তুতিও শুরু করেছে তারা। গেজেট প্রকাশের পরপরই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পড়াবেন।
ইতিমধ্যে শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার প্রস্তুতিও শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়। স্পিকার মঙ্গলবার রংপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পরপরই তার তত্ত্বাবধানে পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।
শপথ পড়ানোর বিষয়ে সংবিধানে ১৪৮ এর ২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি’।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২৯ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
যদিও আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে। শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার ৩৪০ দিনের মধ্যে সংসদ বসার বিধান রয়েছে সংবিধানে।
এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (২) এর (১) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ-সদস্যদের যে কোনো সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হইবার ৩০ দিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ আহ্বান করা হইবে’।
এ বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী ৬ জানুয়ারি রোববার শপথ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশিত হতে পারে।
রোববার দেশের ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাতীয় পার্টি। বিএনপি ৫টি আসন এবং অন্যান্যরা ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছে।
এখন এই নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।