নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুদিন ধরে এ ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন সন্তোষ দাস। সোমবার সকালে দেখছি সেখানে সন্তোষ নেই। তার বাড়ি ঘরের কোনো জিনিসপত্রও চোখে পড়ছে না। তার ঘর জুড়ে ঝুলছে আওয়ামী যুবলীগের এক বিশাল ব্যানার। একথা জানালেন স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল এ জমি এ ঘর এখন থেকে আওয়ামী যুবলীগ সংগঠনের, সন্তোষ বাবুর নয়। ঘটনাস্থল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের ব্রহ্মরাজপুর সাহেব বাড়ির মোড়। তবে নিজের দীর্ঘ ব্যবহৃত ঘর জমি পুনরুদ্ধারে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন সন্তোষ দাস। এ এলাকার ব্যবসায়ী আবদুস সেলিম জানান, তিনি সন্তোষ দাসের কাছ থেকে এক খন্ড খাস জমি ও ঘর মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে তিন বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়েছেন। রোববার চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে তিনি সেখানে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬ টায় হঠাৎ এলাকার কয়েক যুবক সেই ঘরে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের ব্যানার টানিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমি ঘরে বসে তাদেরকে জানাই এঘর আমার ভাড়া নেওয়া। এ কথা বলতেই তারা আমাকে সেখান থেকে জোর করে বের করে দেয়। বিষয়টি ঘরের মালিক সন্তোষ দাসকে টেলিফোনে জানালে দ্রুত তিনি ও তার স্ত্রী এসে নিজ ঘরে ওঠেন। যুবকরা তাকে বলেন, “কিসের ঘর তোর। এটা সরকারি জমি। আমরা সরকারি দলের লোক। এখানে সরকারি দলের অফিস হবে”Ñ বলে তাড়িয়ে দেয় তাদের। সন্তোষ চোখের পানি ফেলতে ফেলতে চলে গেছেন। গতকাল সকাল থেকে দখলদার যুবক সোহরাব, শহীদ, কুদ্দুস, আকসাদ ও অজিয়ারের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা সেখানে খিচুড়ি রান্না করে খায়। আর মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজায়।
এ ব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে সেখানে পুলিশ যায়। শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে থানার পক্ষ থেকে সেখানে একজন চৌকিদার নিযুক্ত করা হলেও দখলদার যুবকদের দাপটে তিনি চলে গেছেন। একই সাথে বিষয়টি অভিযোগ আকারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সানা ওরফে বাবু সানা বলেন ওটা ‘ক’ তফসিলভূক্ত জমি। ওটা সন্তোষের নয়। এমনকি সেলিমেরও কোনো কাগজপত্র নেই। তাই এলাকার ছেলেরা দখলে নিয়েছে। তিনি বলেন দখলের বিষয়টি জানতে পেরে আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলেছি। তিনি বলেছেন, তিনি নিজে এসে দ্ইুপক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট