অনলাইন ডেস্ক: ক্যাথরিন মায়োরগা ধর্ষনের অভিযোগ আনেন রোনালদোর বিরুদ্ধে। কিন্তু সে অভিযোগ শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। কিন্তু এবার তার সাবেক প্রেমিকা জেসমিন লিওনার্দো দাবি করেছেন, রোনারদো আসলেই একজন ধর্ষক। এছাড়া মানসিক রোগী তিনি। রোনালদোকে মিথ্যাবাদী বলেও দাবি করেছেন তার সাবেক প্রেমিকা। এমনকি মায়োরগার আইনজীবীদের আহ্বান করেছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। রোনালদো যে ধর্ষক তা প্রমাণ করতে সহায়তা করবেন তিনি।
জেসমিন লিওনার্দো বেশ কিছু টুইট করেছেন রোনালদোকে নিয়ে। সেখানে তিনি রোনালদোর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তার জীবনে রোনালদোর থেকে কাউকে বেশি ঘৃণা করেন না বলেও উল্লেখ করেছেন। রোনালদোর উদ্দেশ্যে তার সাবেক এই প্রেমিকা বলেন, তুমি যত জোরেই বল মারো না কেনো ‘নো’ মানে ‘না’ এটা জানা দরকার।
জেসমিন তার টুইটারে লেখেন, ‘অনেক ভাবার পর সিদ্ধান্ত নিলাম মায়োরগাকে আমি আইনি সহায়তা করতে চাই। আমি রোনালদোর নামে তার করা ধর্ষনের মামলার সহযোগী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করছি। আমার বিশ্বাস আমার কাছে এমন তথ্য আছে যা তার উপকারে আসবে। রোনালদোর মতো মানুষের নিজের ক্ষমতার সু-ব্যবহারের ক্ষমতা নেই। আমার জীবনে তার চেয়ে বেশি ঘৃণা কাউকে করি না।’
এরপর জেসমিন টুইট করেন, ‘নো শব্দের মানে না। কোন নারী যখন চিৎকার করেও তাকে থামাতে পারে না তখন সে ধর্ষক। যতই জোরে বলে কিক মারো কিংবা গান গাও না কেনো, আমি নিজেকে কারো হাতে তুলে দিতে পারি না। তার সঙ্গে আমার এক দশক প্রেম ছিল। তবে তার আসল মুখোস তুলে ধরেছেন মায়োরগা এবং তার আইনজীবীরা।’
রোনালদো একজন মিথ্যুক এবং মানসিক রোগী। তার সন্তাস এবং সন্তানের মা নিয়ে মিথ্যা ছেয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন জেসমিন। এরপর অভিযোগ করেন, ‘রোনালদো আমাকে বলেছিল, আমি যদি অন্যের সঙ্গে ডেটিংয়ে যায় কিংবা ঘর থেকে বের হয় তবে সে আমাকে অপহরণ করবে। এরপর আমার শরীর টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেবে। আমি বলছি, আমার কাছে সবকিছুর প্রমাণ আছে। সে আসলেই একজন মানসিক রোগী।’