যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো ট্রাম্পকে অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা দেন।
যুক্তরাজ্যের রানী এলিজাবেথের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে দেশটিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার জন বেরকো জানিয়েছেন, ওয়েস্টমিনস্টারে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। কারণ দেশটির পার্লামেন্ট সব সময়ই বর্ণবাদ ও লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
জন বেরকো বলেন, ‘এই অধিকার (পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেওয়া) এমনিতেই পাওয়া যায় না, অর্জন করে নিতে হয়।’
বেরকোর ওই সিদ্ধান্তে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই বেশ খুশি। তবে ক্ষেপেছেন সরকার দলের অনেকেই। তাঁরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত করে ফেলছেন বেরকো।
বেরকো জানান, যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ স্থগিত করার ক্ষমতা নেই তাঁর। তবে ট্রাম্পের ওই ভ্রমণের অন্যতম আনুষ্ঠানিকতা পার্লামেন্টে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি রদ করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্পিকার বলেন, ‘ট্রাম্প অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই আমি ওয়েস্টমিনস্টার হলে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার বিপক্ষে ছিলাম। আমি ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানাব না।’
এর আগে ২০১২ সালে ওয়েস্টমিনস্টার হলে বক্তৃতা দেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কে এসেছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি এক নির্বাহী আদেশে ইরাক, সিরিয়া, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তের দেয়াল তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনায় আসেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে থেকেই নারীবিদ্বেষী বিভিন্ন মন্তব্য করে করে আসছেন ট্রাম্প।