অনলাইন ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণকে উটপাখির ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে অনেক উন্নয়ন ও ইতিবাচক কথা থাকলেও ব্যর্থতার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শামীম হায়দার এই মন্তব্য করেন।
বিরোধী দলের এই সদস্য বলেন, দুর্নীতি আশানুরূপভাবে কমেনি, ব্যাংক কমিশন করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি, প্রতিনিয়ত রাজধানীর মানুষ যানজটে ভুগছে—এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণে কোনো নির্দেশনা নেই।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও সমালোচনা করে শামীম হায়দার বলেন, দেশের গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধবান্ধব। তারা অবশ্যই সমালোচনা করবে। সংবিধানে চিন্তার অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্নমত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বেশ কিছু আইন হওয়ার পর সেভাবে জনগণকে কথা বলতে দেখা যায়নি। মনে হয় তারা মনে করছে, কথা বলেও লাভ হবে না। এটা সহনীয় পরিবেশ নয়।
শামীম হায়দার বলেন, এবার সরকারি দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এসেছে, অনেকটা বিরোধী দল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য বড় সংকট তৈরি করতে পারে।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, বয়স্ক-বিধবা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ১০ টাকায় চাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সদস্য আব্দুস শহীদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তানভীর ইমাম ও বিকল্প ধারার আব্দুল মান্নান আলোচনায় অংশ নেন।