আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা সীমান্ত সয়লাব হয়ে পড়েছে ভারতীয় চা পাতা ও গরুর মাংসে। প্রতিদিনই বিজিবির অভিযানে আটক হচ্ছে এসব ভারতীয় চোরাই সামগ্রী।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৩০০ কেজি গরুর মাংস ও ৩০০ কেজিরও বেশি ভারতীয় চা পাতা আটক করা হয়েছে। তবে এর সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের আটক করা যায়নি।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান ভারতে গরুর মাংসের চাহিদা কম। ফলে দামও কম।এই সুযোগ নিয়ে চোরাচালানিরা ভারতীয় গরু পাচারের ঝুঁকি না নিয়ে সে দেশে জবাই করা গরুর মাংস পাচার করছে বাংলাদেশে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাতক্ষীরা সীমান্তের চোরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় গরুর মাংস সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সীমান্তের হাটে বাজারে খোলামেলাভাবে তা বেচাকেনা চলছে। সীমান্তের এসব এলাকা থেকে গরুর মাংস চলে আসছে সাতক্ষীরা শহরে অথবা দেশের অন্যান্য এলাকায়। সচরাচর গরুর কসাইদের মাধ্যমে তা বাজারে বেচাকেনা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। বাজারে এসব মাংস সর্বনি¤œ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে কসাইরা। সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িতেও মিলছে ভারতীয় গরুর মাংস। আগে থেকে অর্ডার দিয়ে এলাকার মেজবান ও পারিবারিক অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হচ্ছে এসব গরুর মাংস।
এদিকে গরুর মাংসের সাথে পাল্লা দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসছে চা পাতা। প্রতিদিনই সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক হচ্ছে ভারতীয় চা পাতা। বাংলাদেশের হাটে বাজারে এসব চা পাতা বিক্রি হচ্ছে । এর ফলে বাজারে বাংলাদেশের চা পাতা বিক্রি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই চা পাতার মধ্যে মাদকের উপাদান আছে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বিজিবি বলেছে এ বিষয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা না করে কোনো মন্তব্য করা কঠিন।
বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খোন্দকার বলেন চোরাই পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের ভারতীয় পণ্য আটক অব্যাহত রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট