বিদেশের খবর: পাকিস্তানে সেনা অভিযানের পর ভোটের অঙ্ক গুনছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতীয়তাবাদের আবেগে ঢাকতে চাইছিলেন এত দিন ধরে ওঠা অভিযোগগুলো। বুধবার বিজ্ঞান ভবনে যুবসমাজকে দেখাচ্ছিলেন নানা স্বপ্ন।
এমন সময়ে হাতে এল চিরকুট। আকাশে ‘যুদ্ধ’ চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক পাইলটকেও আটকে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। তড়িঘড়ি প্রশ্নোত্তর পর্ব সেরে বিজ্ঞান ভবন ছাড়লেন মোদী। ‘সাজানো বাগান’টি যেন নিমেষে তছনছ হয়ে গেল। ঠিক যেমন অরুণ জেটলিরও। সকালেই তিনি নজির টানছিলেন, পাকিস্তানে ঢুকে মার্কিন সেনার বিন লাদেনকে হত্যা করার ঘটনার। প্রশ্ন তুলছিলেন, ‘আমরা কেন পারব না?’
এ দিন বিকেলে হতাশ গলায় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘সত্যিই একদিনে বদলে গেল ছবিটা।’ মঙ্গলবার থেকে বিজেপি শিবিরে সম্ভাব্য আসনসংখ্যা নিলামের মতো উঠছিল মুখে মুখে— ‘পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি নিকেশ করলেন নরেন্দ্র মোদী, লোকসভায় আড়াইশো আসন তো নিশ্চিত।’ তাকে থামিয়ে অন্য জন: ‘তিনশো নয় কেন?’ ‘তা হলে চারশোই হোক!’ প্রথম জন, ‘সেটি একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না?’
যাবতীয় হিসেব-নিকেশ আজ বন্ধ হয়ে গেল বিমান বাহিনীর পাইলট আটক হওয়ার পর। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও নরেন্দ্র মোদী ফের দফায় দফায় বৈঠক করা শুরু করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও সেনা কর্তাদের সঙ্গে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসও ছড়াতে শুরু করল— মনমোহন সিংহের সময় পাকিস্তানে ঢুকে হামলা না হোক, সীমান্ত শান্ত ছিল। এখন তো নিজের ভোট বাড়ানোর জন্য সীমান্তেও উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছেন মোদী।
চব্বিশ ঘন্টায় মোদীকে ফের চাপে পড়তে দেখে আক্রমণাত্মক হওয়া শুরু করলেন রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। সনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে ২১টি দলের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে তুলোধোনা করা হয় মোদীকে। বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা শিকেয় তুলে সেনাকে নিয়ে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি দুঃখজনক। সূত্র: আনন্দবাজার