খেলার খবর: নানা ঐতিহ্য আর শিল্প শৈলির আদলে পূর্বাচলে তৈরি হবে দেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ স্টেডিয়ামটির নাম হবে ‘দ্য বোট শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম’। চলতি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটা পিছিয়ে আগামী শীতে শুরু হবে স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়ে শুরু হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রথম সভা। বিসিবির সহসভাপতি মাহবুব আনামকে আহ্বায়ক করে বোর্ডের বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে তৈরি হয় পাঁচ সদস্যের কমিটি। কমিটিতে বাকি চার সদস্য হলেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। সভা শেষে জানানো হয়, আগামী শীতেই শুরু হবে স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ। তাছাড়া কাজ শুরু হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই তৈরি হবে দেশের সর্বাধুনিক স্টেডিয়ামটি।
এই প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম বলেন, ‘কীভাবে আমরা এই পরিকল্পনাটি করব তার একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। বাইরে থেকে বেশ কিছু দক্ষ লোক অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বুয়েট থেকে প্রতিনিধি নেওয়া হবে। পূর্বাচলের এই জমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজউকের মাধ্যমে প্রতীকী মূল্যে আমাদের বরাদ্দ দিয়েছেন। ’
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি বিশ্বের মধ্যে সুন্দর একটি স্টেডিয়াম হতে যাচ্ছে বলে আশ্বাস দেন বিসিবি সহসভাপতি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের ইচ্ছে এই স্টেডিয়ামটি এমন একটা স্টেডিয়াম হবে যেটা শুধু এই দেশের নয়, সারা বিশ্বের অন্যতম সুন্দর একটি স্টেডিয়াম হবে।’
কবে থেকে স্টেডিয়ামটির দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘স্টেডিয়ামের কাজ আগামী শীতে আগে শুরু করা হবে না। বিসিবি এরই মধ্যে স্টেডিয়ামের ড্রইং তৈরি করেছে। সেটা অনুসরণ করা হবে। বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৩৭ একর জমির ওপর এই স্টেডিয়াম ও একটা একাডেমি গ্রাউন্ড থাকবে। তাই আমরা দুটি মাঠ পাব। এ ছাড়া আর কী কী করা যেতে পারে সেটাও ভাবা হচ্ছে।’
পূর্বাচলে স্টেডিয়াম তৈরি হলে মিরপুর থেকে বিসিবির কার্যালয় স্থানান্তরিত হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আনাম বলেন, ‘সে বিষয়ে বিসিবি পরে সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে আমি মনে করি, এই মাঠের (শেরেবাংলা স্টেডিয়াম) প্রয়োজনীয়তা কখনো ফুরাবে না। এটা একটা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এটিকে সেভাবেই পরিচালনা করা হবে।’
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। যার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে বিসিবি। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার। স্টেডিয়ামটির সঙ্গে তৈরি করা হবে ইনডোর একাডেমি, সুইমিংপুল এবং জিমনেশিয়াম। সঙ্গে একটি পাঁচ তারকা হোটেল তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।