ভিন্ন স্বাদের খবর: ভুলু বারী, এফডিসির পরিচিত মুখ। সকাল থেকে রাত থাকেন তার প্রিয় যায়গাতে। এফডিসিতে থাকা শিল্পী, পরিচালক ও বিভিন্ন জনের কাছে হাত পেতে কুড়ি, পঞ্চাশ, একশো টাকা যা পায় তাতে চলে বাসা ভাড়া, খাওয়া দাওয়া।
ভুলু বারী নেচেছেন ও অভিনয় করেছেন একাধীক সিনেমায়। কিন্তু বয়সের ভারে এখন আর কাজ করা হয় না তার। তাই বাধ্য হয়ে হাত পাততে হয় অন্যের কাছে।
ভুলুর পরিচয় এখানেই শেষ না। তিনি বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’র নায়িকার মেয়ে। যে নায়িকার হাত ধরে শুরু হয়েছিল চলচ্চিত্র আজ সেই নায়িকার মেয়েকে হাত পাততে হচ্ছে মানুষের কাছে।
মায়ের স্মৃতি আর বয়সের ভার নিয়ে ভুলুর জীবন চলছে অসহায় অবস্থায়। হয়তো আর বছর দুয়েক পর নিজে ঠিকমত চলতেও পারবেন না তিনি।
জানা গেছে, দেশের প্রথম নায়িকা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে মৃত্যু বরণ করেছে। আর সেই পথেই হয়তো হাঁটছে মেয়ে ভুলু।
কান্না জড়িত কণ্ঠে ভুলু বারী বলছিলেন, আমার থাকার যায়গা নেই। অন্যের বাসায় থাকি। আমার মা বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম নায়িকা। আমার মা কিছুই পাইনি। মৃত্যুর আগে আমার মাও ভিক্ষা করে টাকা জোগাড় করেছে। আমিও ভিক্ষা করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাই।
শুধু ভুলুই না ভুলুর মত আরও অনেক শিল্পী আছে যারা চলচ্চিত্রের জন্য অবদান রেখেছে। কিন্তু আজ তারা অবহেলিত। তারা গাড়ি-বাড়ি চায়না, চায় এক বেলা পেটের জ্বালা নেভাতে।