দেশের খবর: সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) কৃত্রিম পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো সেই প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকার। কৃত্রিম পা সংযোজনের সাত দিন পর বৃহস্পতিবার সিআরপি থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় তাকে। পরে দুপুরে হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি।
কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শফিক জানান, চার সপ্তাহ সিআরপির তত্ত্বাবধানে থাকার কথা থাকলেও মনোবল ও শারীরিক সামর্থ্যের কারণে রাসেলকে অনেক আগেই ছাড়পত্র দেয়া সম্ভব হয়েছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাসেলের বাঁ পা-টি সংযুক্ত করেন মোহাম্মদ শফিক। রাসেলকে বিনামূল্যে সুইজারল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজির এ পা-টি দিয়েছে সিআরপি।
প্রসঙ্গত রাসেল সরকার একটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ি চালাতেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারান।
ঘটনার পর রাসেল বলেছিলেন- ফেরার সময় যাত্রাবাড়ীতে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। পরে গাড়ি থামিয়ে বাসের সামনে গিয়ে বাসচালককে নামতে বলেন তিনি।তখন তার সঙ্গে বাসচালকের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাসচালক গাড়ি চালাতে শুরু করেন। তখন রাসেল সরতে গেলে উড়ালসড়কের রেলিংয়ে আটকে যান।
এ সময় রাসেলের পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে যায়। এর পর অস্ত্রোপচার করে তার বাঁ পা কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় রাসেল সরকারের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় গ্রিনলাইনকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রায় দেন হাইকোর্ট। গত ১০ এপ্রিল পাঁচ লাখ পরিশোধ করে গ্রিনলাইন।