আরাফাত হোসেন(লিটন)দেবহাটা প্রতিনিধিঃদেবহাটার নাজিরের ঘের কমিউনিটি ক্লিনিকে মিটার না থাকলেও পাওনা দেখিয়ে উকিল নোটিশ। ভুতুড়ে বিল বিপাকে দেবহাটার নাজিরের ঘের কমিউনিটি ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ মুনছুর মোড়ল সহ কতৃপক্ষ। মিটার নেই, বিল নেই, তবুও পাওনা দেখিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের নাজিরের ঘের কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সহ এই এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে। জানা যায়, ২০১৬ সালে নাজিরের ঘের এলাকার মানুষ পায় বিদ্যুৎ সেবা। সে সময় কমিউনিটি ক্লিনিকে একটি সংযোগ তার দিলেও স্থাপন করা হয়নি কোন মিটার। কিন্তু সেই থেকে মাাঝে মাঝে ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ মুনছুর মোড়লের নামে চলে আসে মিটারের ভুতুড়ে বকেয়া বিল আদায়ের রশিদ। কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় যার হিসাব নং- ৩৩৬- ১৩৬০ এবং মিটার নং- ১৭৩৭৩৯৭৬।তবে, ক্লিনিকের পাশ^বর্তী নাজিরের সরকারী প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাসান আলী জানান, আমি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এখানে চাকুরী করি। কিন্তু এই ক্লিনিকে আমি কখনো পল্লী বিদ্যুতের মিটার স্থাপন করতে দেখি নি। এবিষয়ে মুনছুর মোড়ল জানান, আমার জানা মতে এখানে কোন মিটার নেই। কিন্তু আমার নামে মাঝে মাঝে এরকম নোটিশ আসে। আমি এব্যাপারে কালিগঞ্জ অফিসে জানালে বলেন আপনি পাটকেলঘাটা অফিসে যোগাযোগ করুন। পাটলেলঘাটায় গেলে অবার কালিগঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে আামি দিশেহারা হয়ে পড়েছি।এব্যাপারে ক্লিনিকের সভাপতি ও পারুলিয়া ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইয়ামিন মোড়ল বলেন, ক্লিনিকের ভবন ভাল না হওয়ায় ২০১৬ সালে এই এলাকায় যখন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিল তখন তার টানালেও মিটার স্থাপন করিনি সে সময়ের কর্তব্যরত মিস্ত্রীরা। তার পরেও আমি শুনেছি মাঝে মাঝে বকেয়া বিল আদায়ের রশিদ আসে। কিভাবে আসে আমি বুঝিনা।এবিষয়ে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জানান, আমি নতুন এসেছি, তাই এবিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টি নিয়ে কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলবো।
মিটার নেই: তবুও উকিল নোটিশ
পূর্ববর্তী পোস্ট