নাম সৌম্য। সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান। সুঠাম দেহ আর মনভোলানো হাসিটাতেও তিনি সৌম্য। এই পর্যন্তই। ক্রিকেট মাঠে নামলেই অশান্ত আর কুৎসিত হয়ে ওঠেন। বোলারদের পিটিয়ে ছাতু বানাতেই সিদ্ধহস্ত। কারো প্রতি বিন্দুমাত্র দাক্ষিণ্য প্রদর্শন করেন না। ক্রিকেট ব্যাটটাকে তলোয়ার বানিয়ে বোলারদের ওপর শাসন চালান তিনি।
দুই বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম ভরসার নাম এই সৌম্য সরকার। আজকের দিনে ২৪ বছরে পা দিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৯৯৩ সালে আজকের দিনেই সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
স্কুলজীবন থেকেই তুখোড় ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। বয়সভিত্তিক ও স্কুল ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তিনি। স্কুল ওয়ানডেতে ২৫০ রানের ইনিংস রয়েছে তাঁর। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে কাতারের বিপক্ষেও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ দলে লেখার মধ্য দিয়ে তারকা খ্যাতি পাওয়া শুরু করেন এই ব্যাটসম্যান। তবে ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপটা ছিল সৌম্যর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তুলোধুনা করে ৮০ বলে ৭৩ রান করেন সৌম্য। সেই ম্যাচে হারলেও অমূল্য এক রতনের সন্ধান পেয়ে যান বাংলাদেশ।
২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর মিরপুর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হয় সৌম্য সরকারের। ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে জায়গা পেয়ে যায় বিশ্বকাপ দলেও। ক্রিকেটের মহারণে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে সবার নজর কেড়ে নেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত এক ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চেনান আরেকবার। পুরস্কার হিসেবে টেস্ট দলেও জায়গা পেয়ে যান।
এখন পর্যন্ত ২০ ওয়ানডেতে ৪০.২২ গড়ে ৭২৪ রান করেছেন সৌম্য সরকার। ২২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৭.২৭ গড়ে সৌম্য রান ৩৮০। ৫ টেস্টে ৩১.৭৭ গড়ে ২৮৬ রান করেছেন তিনি।