ভিন্ন স্বাদের খবর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ তার জীবনচিত্রের ওপর মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে ৬ বছরের শিশু রাইসা রহমান। এত কম বয়সে রাইসার এই অর্জন রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোরে সংযুক্ত হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অ্যাপ তৈরি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান রাইসার মা কামরুন নাহার ও বাবা লুৎফর রহমান। বাবা-মায়ের পাশে বসে রাইসাও জানায় তার অ্যাপ তৈরির অনুপ্রেরণা ও অনুভূতির কথা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাইসার শিক্ষক জোবায়ের অ্যাপ একাডেমির জোবায়ের হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মজিদ এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদশা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাইসার মা কামরুন নাহার বলেন, তার মেয়ে দেড় বছর বয়স থেকেই কম্পিউটারের ব্যাপারে প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠে। তিন-চার বছর বয়সেই সে প্রায় একশ’টি মোবাইল গেম খেলে শেষ করে। রাইসা দিনে কম্পিউটারে ব্যয় করত ১০ ঘণ্টারও বেশি সময়। মেয়ের এই প্রবল আগ্রহ দেখে তাকে ভর্তি করে দেন জোবায়ের অ্যাপ একাডেমিতে। সেখানে প্রশিক্ষণ পর্যায়েই রাইসা তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে সম্পূর্ণ মোবাইল অ্যাপ।
অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার পর খোলার জন্য ক্লিক করতেই শোনা যাবে বঙ্গবন্ধুর দরাজ গলা- ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। এরপর অ্যাপটিতে পর্যায়ক্রমে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা তথ্য। বর্তমানে অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোরে আছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
রাইসার মা জানান, মাত্র ছয় বছর বয়সী কোনো শিশুর এ ধরনের অ্যাপ তৈরির ঘটনা এটাই প্রথম। রাইসার জন্য তারা গর্বিত এবং তার মেয়ে দেশের সম্পদ হয়ে বেড়ে উঠুক, এটাই চান।
সংবাদ সম্মেলনে রাইসা জানায়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে পেরে সে দারুণ খুশি। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা এবং অ্যাপ একাডেমির শিক্ষকদের সাহায্যেই সে এই অ্যাপ তৈরি করতে পেরেছে। এ জন্য সে সবার কাছে কৃতজ্ঞ। রাইসা বড় হয়ে একজন বড় মাপের অ্যাপ ডেভেলপার হতে চায়। বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
রাইসার শিক্ষক জোবায়ের হোসেন বলেন, রাইসার প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দক্ষতা রীতিমতো বিস্ময়কর। এত কম বয়সে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে এমন প্রতিভা দেখা যায় না। তিনি রাইসার শিক্ষক হিসেবে গর্বিত।
রাইসার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলা সদরের নবীনগরে। বর্তমানে সে বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় থাকে। সে উত্তরা প্রাইম ব্যাংক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।