খেলার খবর: মোসাদ্দেক হোসেন দলে কেন? ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার দিনই নির্বাচকদের দিকে ধেয়ে গেছে এই প্রশ্ন। যুতসই না হোক একটা ভালো জবাব নির্বাচকদের তৈরি ছিল। কাঁধের ইনজুরিতে থাকা স্পিন অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহর বিকল্প মোসাদ্দেক। জানান বিসিবি’র নির্বাচকরা। উত্তরে প্রশ্নকারী কিংবা ভক্তদের মন ভরেছিল কিনা বলা মুশকিল।
তবে মোসাদ্দেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে জবাব দিয়েছেন। এই জবাবে বাংলাদেশ দল, টাইগার ভক্ত থেকে শুরু করে সবার মন ভরেছে একথা জোর দিয়ে বলা যায়। তার ২৪ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে শিরোপার শাপমোচন হয়েছে টাইগারদের। সাতটি ফাইনাল খেলে প্রথম ’চ্যাম্পিয়ন টাইগাররা’ শিরোনাম লিখিয়েছেন। তার ব্যাটে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। দারুণ ওই ইনিংস খেলার পথে মুসা খেলেছেন পাঁচটি ছক্কা আর দুটি চারের মার। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
মোসাদ্দেক বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেন। আবাহনীকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতান। ব্যাটে হাতে এবং বল হাতে দারুণ করেন তিনি। ডিপিএলে ১২ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে ৪৭.৫৫ গড়ে ৪২৮ রান করেন তিনি। তারপরও তার বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে প্রশ্নের কারণ তিনি অনেকদিন দলের বাইরে ছিলেন।
বাংলাদেশ দলে ২০১৬-১৭ সালের দিকে অভিষেকের পর নিয়মিত খেলেছেন মুসা। পরে চোখের ইনফেকশনের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, এশিয়া কাপ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলকে খুশি করতে পারেননি তিনি। জায়গা হারান দল থেকে।
তবে মোসাদ্দেক যে ম্যাচ উইনার। শেষের দিকে রান তুলতে পারেন তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। এ ম্যাচে আবার মোসাদ্দেক খেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের বদলি হিসেবে। সেই দায়িত্বও নিপুন হাতে পূরণ করেছেন তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় তাকে। ব্যাটে সুযোগ পাননি। তবে বল হাতে ভালো করেন। এ ম্যাচে দলে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বিশ্বকাপে মূল একাদশে জায়গার দাবি জানিয়ে রাখলেন মোসাদ্দেক। হলেন বাংলাদেশের একমাত্র ফাইনাল জয়ের ‘হিরো’।