নিজস্ব প্রতিবেদক: গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি ও মাদকসেবনরত অবস্থায় ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরও গত বছর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সৈয়দ সাদিকুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেইসব বিতর্কিতদের হাতে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়। কিন্তু সেই বিতর্কিত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই আবারও প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেই কমিটি ভেঙে দেয়া হয় এবং গত মার্চ মাসে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বায়োডাটা চেয়ে আবার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আরেকটি নতুন কমিটি একইভাবে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। সেই নতুন কমিটির মেয়াদ দুই মাস পেরোতে না পেরোতেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক নাইস। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী জি এম তুষারের ডান হাতের চার আঙ্গুল কেটে নেয়ার।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদি হাসান নাইস ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। শনিবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলা সদরে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত জি.এম তুষার কলারোয়া উপজেলার পাটুরিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে।
আহতের বাবা মুনসুর গাজী জানান, কলারোয়া উপজেলা পাটুরিয়া গ্রামে ৩৩ শতক জমি নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ চলছিল জনৈক মন্টুদের সাথে। এরই জের ধরে দুপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্বে মন্টু, পলাশ, জুয়েলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীরা তুষারকে পিটিয়ে আহত করার এক পর্যায়ে রামদাঁ দিয়ে তার ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে নেয় নাইস। তিনি আরো জানান গুরুতর আহত অবস্থায় তুষারকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আহত তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দয়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।