আশাশুনি প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। তারা এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না বলেও জানান।
আজ রোববার আশাশুনি উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজির এ ঘটনা ঘটে বলে সেখানকার দলিল লেখকদের দাবি। এ ঘটনার পরপরই দলিল লেখকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। আজ কোনো দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি।
তারা আরও বলেন, আজ ১১০ টি দলিল লেখা হলেও কোনোটিই রেজিস্ট্রি হয়নি। এতে সরকার কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা ভূমি হস্তান্তর কর থেকে বঞ্চিত হলো। দলিল লেখকরা বলেছেন, আমরা থানার ওসিকে বলেছি আসমাউলকে গ্রেফতার না করা হলে সোমবার মানববন্ধন করা হবে। এ নিয়ে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সোমবার তারা আশাশুনিতে মানববন্ধন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আশাশুনির ওসি আবদুস সালাম বলেন, চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ আমার কাছে এখনও আসেনি।
দলিল লেখক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবর রহমান ও সম্পাদক বদরুজ্জামান জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইন আজ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে তোলপাড় শুরু করেন। তিনি সাব রেজিস্ট্রার এর কাছে চাঁদা দাবি করেন। তিনি বলেন, চাঁদা না দিলে এই অফিসে বসতে দেওয়া হবে না। তিনি তাকে অপমানসূচক ভাষায় শাসিয়ে বলেন, “তুই এ কয়দিন অফিসে আসিস নাই কেনো?” দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ বলেছেন তার কাছেও আসমাউল হুসাইন ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছেন। দলিল লেখকরা বলেন সপ্তাহের রবিবার ও সোমবার এই দুই দিন এখানে দলিল লেখার কাজ হয়।
তবে এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার পার্থ প্রতিম মুখার্জীর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তাকে ফোন করা হলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেন নি।
চাঁদাবাজি সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হুসাইন বলেন, আমি চাঁদা চাইনি। এই অফিসে প্রতিদিন দুটি করে জাল দলিল হয়। বয়স ২৫ বছর হলেও এনআইডি ছাড়াই জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি হয়। এছাড়া ৬ ভাই বোনের দুই জন কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয় তা জানতে চান আসমাউল। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে আমি সাব রেজিস্ট্র অফিসে গিয়েছিলাম। আমার সাথে ছিলেন সংগঠনের সদস্য জয়নাল আবেদিন। আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট