নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ে মেনে নিতে না পেরে এক সেনা সদস্য ও তার ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের মুদি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাত সাতটা ও সাড়ে আটটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সিরাজুল ইসলামকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যান্সার আক্রান্ত সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম সেনা বাহিনীতে কর্মরত। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর একই গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে ফারজানা খানম তুন্নির সঙ্গে সাইফুলের ইসলামিক শরীয়ত আইনে বিয়ে হয়। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি প্রভাবশালী আব্দুল লতিফ। এ কারণে আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে রাসেল ও ভাইপো তরিকুল তাকে ও তার ছেলেকে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করেছেন।
তিনি আরো জানান, ঈদের ছুটিতে আসা সাইফুল বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে মোটর সাইকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল ও ভাইপো তরিকুলের ছেলে আতিকুর রহমান পলাশসহ কয়েকজন তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে মারপিট করে। স্থানীয় লোকজন ছুঁটে এলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির সামনে তিনি দাঁড়িয়ে থাকাকালিন আব্দুল লতিফের উপস্থিতিতে রাসেল, পলাশ, মঞ্জুরুল,শরিফুলসহ কয়েক অস্ত্রধারি সন্থাসী তার উপর হামলা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মোবারকের বাড়ির সামনে পলাশ ও তার মা জাহানারার সঙ্গে বচসা হয়। প্রতিবাদ করায় পলাশ ও রাসেলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা রুস্তুম আলী সরদারের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির মুদি দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়।
জানতে চাইলে আব্দুল লতিফের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাইপো তরিকুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন জানান, তুজুলপুর বেহাই এর বাড়ি যাওয়ার পথে সাইফুলসহ তিনজন তাকে ও তার ছেলে পলাশকে মারপিট করে কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা কেড়ে নিয়েছে। সাইফুল ও তার বাবাকে মারপিটের ঘটনা ও তাদের সঙ্গে শ্বশুর আব্দুল লতিফের কোন বিরোধের ঘটনা তার জানা নেই।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তুম আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান ও আতিকুর রহমান পলাশ বাদি হয়ে পৃথক দু’ টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপপরিদর্শক শ্যামাপদ রায় তদন্ত প্রতিবেদন দিলে সে অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।