দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষকে সাবেক সভাপতি কর্তৃক লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ আনিসউজ্জামান কালাম বাদী হয়ে বর্তমান দেবহাটা কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দেবহাটা থানার ওসির কাছে পাঠিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ মতে জানা গেছে, দেবহাটা কলেজের গর্ভনিং কমিটির সাবেক সভাপতি আলী মোর্তজা মোঃ আনোয়ারুল হক ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেবহাটা কলেজের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তিনি কলেজে নিয়োগ বানিজ্য, কলেজের আম বাগান, কলেজের পুকুর ও বিভিন্ন উৎসবের নাম করে ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি সভাপতি পদের অপব্যবহার করে কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে, কলেজের আম বাগান বিক্রি করে ও পুকুর নিজে লিজ নিয়ে উক্ত টাকা কলেজ ফান্ডে জমা প্রদান না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। গত কয়েকদিন আগে সভাপতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় থেকে সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে আনোয়ারুল হক কলেজের অধ্যক্ষের উপরে ক্ষিপ্ত রোজার সময় কলেজে এসে অধ্যক্ষকে কলেজ খুললে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। যার কারনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের পাশে আনোয়ারুল হক কলেজ অধ্যক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও একপর্যায়ে মারতে আসে। এসময় আব্দুর রউফ, মোবারক আলী, থানা পুলিশের ড্রাইভার আনোয়ারুল হককে ঠেকিয়ে দেয়। এঘটনা উল্লেখ করে অধ্যক্ষ একেএম আনিসউজ্জামান কালাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ গভনিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি বিষয়টির ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দেবহাটা থানার ওসির নিকট প্রেরন করেছেন। এ বিষয়ে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনাটি শুনেছেন স্বীকার করে জানান, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা ইউএনওর সুপারিশ করা কোন পত্র তিনি পাননি। সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক কলেজের টাকা আত্মসাৎ করে দ্বিতলা বাড়ি করাসহ বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন উল্লেখ করে অধ্যক্ষ আনিসউজ্জামান কালাম বলেন, তিনি সাবেক সভাপতি এই অবৈধ কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা বাধা প্রদান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে লাঞ্চিত করেছেন। অধ্যক্ষ এই ধরনের ঘৃন্য অপরাধের বিচার দাবী করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট