স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রাণ লাচ্ছা সেমাই, প্রাণ হলুদের গুঁড়া, পুষ্টি সরিষার তেলসহ বিভিন্ন কোম্পানির ১৬টি পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পুনঃপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ওই ১৬টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে বিএসটিআই এর আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসময় আদালত বলেন, মানুষ চোখ বন্ধ করে প্রাণের পণ্য কেনে। তাদের পণ্যে বিস্তর ভেজাল, মানুষ কোথায় যাবে?
আদালত আরও বলেন, অনেক সময় আমরা শুনি পণ্য পরীক্ষায়ও লেনদেন হয়। এমনটা আমাদের সামনে এলে দুদককে নয়, সোজা জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে বিএসটিআই। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ৩১৩টির মধ্যে ৫২টি পণ্য মানহীন বলে প্রতিবেদন দেয় মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।
বাকি ৯৩ পণ্যের পরীক্ষার ফল প্রতিবেদন আজ জমা দেয়া হয়েছে। তবে ৯৩ পণ্যের মধ্যে ২২টিকে মানহীন বলে প্রতিবেদন দিয়েছে বিএসটিআই।
তবে এই ২২টি পণ্যকে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিএসটিআইয়ের দাখিলকৃত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় যে ৫২ পণ্য মানহীন ছিল, তার মধ্যে ৪২টি পণ্য পুনরায় মান পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল।
এর মধ্যে ২৬টি পুনঃপরীক্ষায় মানোত্তীর্ণ হয়েছে। তবে ১৬টি পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকি ১০টি পণ্য এখনও নমুনা দেয়নি। একই সঙ্গে মান পরীক্ষায় বাকি ৯৩টি পণ্যের মধ্যে ২২টি মানহীন।
বিএসটিআইয়ের আইনজীবী এমআর হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ২৬টি প্রোডাক্ট তাদের মান উন্নয়ন করেছে। এবং ১৬টি প্রোডাক্টের অবনতি হয়েছে। এ জন্য এ ১৬টি প্রোডাক্ট বাতিল করেছি।
যে ১৬টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেগুলো হলো- মিষ্টি মেলার লাচ্ছা সেমাই, ডানকান’স মিনারেল ওয়াটার, পুষ্টি সরিষার তেল, নূর স্পেশাল লবণ, দাদা সুপার লবণ, তিন তীর লবণ, স্টারশিপ লবণ, তাজ লবণ, মোল্লা সল্ট, প্রাণ হলুদের গুঁড়া, প্রাণ লাচ্ছা সেমাই, জেদ্দা লাচ্ছা সেমাই, ড্যানিশ কারি পাউডার, ড্যানিশ হলুদের গুঁড়া, সান চিপস ও অমৃত লাচ্ছা সেমাই।