শিক্ষা সংবাদ: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাতেও এখন থেকে তৃতীয় পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করবেন। আগে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা একজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করতেন।
৩৮তম বিসিএস থেকে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র দু’জন পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করা শুরু করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এই বিসিএস থেকেই দু’জন পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে সেসব খাতা তৃতীয় কোনো পরীক্ষক দেখবেন।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বৈত পরীক্ষক ও প্রয়োজনে তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা দেখার এ পদ্ধতি চালু আছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করতে দ্রুত ফল প্রকাশের জন্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ কয়েকটি বিভাগে একক পরীক্ষক পদ্ধতি চালু হয় ৭-৮ বছর আগে। সেশনজট কমাতে ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও একক পরীক্ষক পদ্ধতি চালু করে।
বিসিএস পরীক্ষার উত্তরপত্র সঠিকভাবে দেখা হচ্ছে না- এমন অভিযোগ তুলে পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্মূল্যায়নের দাবি করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।
পিএসসি সূত্র জানায়, চাকরির বাজারে বিসিএসে যেহেতু সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়, তারপরও কোনোভাবেই যাতে পরীক্ষকের ভুলে কোনো প্রার্থী বঞ্চিত না হন; সে ব্যবস্থা নিতেই এ পদক্ষেপ। ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। এ কারণেই এবার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে কিছুটা দেরি হবে বলে জানা গেছে।
নতুন পদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষক ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের গড় ফল পাবেন পরীক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছাকাছি প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের মধ্যে যার নম্বরটি থাকবে, সেটি আমলে নিয়ে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
পিএসসির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ৩৮তম বিসিএসে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পরীক্ষার্থীর খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়ন বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যেখানে এক-দুই নম্বরেই ভাগ্য বদলে যায়, সেখানে অনেক সময় পরীক্ষকের অবহেলায় অনেকেই কাঙ্ক্ষিত নম্বর পান না। তাই এ সিদ্ধান্ত পরীক্ষার্থীদের মাঝে আস্থা তৈরি করবে বলে তারা মনে করেন।