নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখলেও ম্যাচের ৮৫ মিনিট পর্যন্ত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত ছিল না বার্সেলোনার। সবাই অবদান রাখলেও নেইমার চুপ ছিলেন। পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেললেও গোল পাননি ব্রাজিল তারকা। ৮৮তম মিনিটে বুসকেটসকে ট্যাকল করে বসেন থিয়েগো সিলভা। ফ্রিকিক পায় বার্সেলোনা। গোলপোস্ট থেকে ২০ গজ সামনে থেকে নেওয়া কিকটা জালে জড়িয়ে দেন নেইমার।
নেইমারের বাঁকানো বলটা কেবল চেয়ে থেকে দেখেছেন পিএসজির গোলরক্ষক। ম্যাচ তখনো বাকি। ৯০তম মিনিটে সুয়ারেজকে মারাত্মকভাবে ফাউল করেন মারকুইনস। পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। এর আগের পেনাল্টি শটটা নিয়েছিলেন মেসি। সেবার অবশ্য মেসির শটটাতে হাত ছুঁইয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক ট্র্যাপ। এ কারণেই হয়তো নিজে শট না নিয়ে নেইমারকে দিয়ে শটটা করিয়েছেন মেসি। নেইমারের এ গোলেই খেলায় সমতায় ফেরে বার্সা। তবে সার্জিও রর্বাতোর গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালান ক্লাবটি।
পিএসজির বিপক্ষে ইতিহাস গড়া ম্যাচটিকে নিজের জীবনের সেরা ম্যাচ বললেন নেইমার। ‘এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসটা ধরে রাখতে পেরেছি বলে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এমন ঘটনা জীবনে খুব বেশিবার আসে না। অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি যে আমরা পারব, তবে আমরা সেটা করে দেখিয়েছি।’
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেই বাকিদের প্রচ্ছন্ন একটা হুমকি দিয়ে রাখলেন নেইমার। বললেন, ‘আমরা যদি বিশ্বাস রেখে খেলি, তাহলে বার্সাকে থামানো অসম্ভব।’ এমন ম্যাচের পর বার্সা ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করবেন না মেসি—এমনটাই মনে করছেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বার্সেলোনাতেই থাকবে সে।’ পিএসজির বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে ৪-০ গোলে হারে বার্সেলোনা।