নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চালতেতলায় (মেঝ মিয়ার মোড় এলাকার বাগানবাড়ী) সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ও উত্তরাধিকার নির্মূলের জের ধরে ৪ বছরের শিশু সন্তানকে হাতুড়ির আঘাতে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় এ জঘন্য ও ঘৃনিত কাজ করে চালতেতলার শমসের মোল্লার মেঝ ছেলে মফিজুল মোল্লা ও ছোট ছেলে হাফিজুল মোল্লা। আমাদের চারপাশে যখন গুজব মহামারী আকার ধারণ করেছে তখন একদল দূর্বৃত্ত সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসে ব্যস্ত। ঠিক এমনই একটি সত্য ঘটনা গুজব বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় ব্যস্ত শিশু ইমরানের দাদী নামক হিং¯্র ডাইনী মহিলা। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের হলেও অজ্ঞাত হুমকি-ধামকিতে এখনো মামলা করা সম্ভব হয়নি ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মেঝ মিয়ার মোড় এলাকার বাগানবাড়ীর শমসের মোল্লার চার ছেলের নিজেদের জমিজমা ভাগ বাটোয়ারার জেরে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ও উত্তরাধিকার নির্মূলের হীন প্রচেষ্টায় আপন বড় ভাইয়ের ৪ বছর বয়সের ছেলেশিশু ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। চার ভাইয়ের পিতা মো. শমসের মোল্লা নিজ স্ত্রী আম্বিয়ার অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করেন। মাঝে মাঝে পিতার পক্ষ নিয়ে বড় ছেলে সাহাজুল মোল্লা কথা বলায় তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায় হিং¯্র স্বভাবের মহিলা আম্বিয়া খাতুন। এরই জের ধরে চার ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন। ঘটনার দিন শমসের মোল্লার মেঝ ছেলে মফিজুল মোল্লা, ছোট ছেলে হাফিজুল মোল্লা, শমসের মোল্লার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন ও তাহেরা খাতুন দা, শাবল ও হাতুড়ি নিয়ে শমসের মোল্লার বড় ছেলে সাহাজুল মোল্লার ঘরে প্রবেশ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আম্বিয়া খাতুন বড় ছেলে সাহাজুল কে মারতে থাকলে ভাই মফিজুল মোল্লা ও শরিফুল মোল্লাও তাকে মারতে থাকে। এসময় আম্বিয়া খাতুন তার মেঝ ছেলেকে বলে, ‘দে এর বংশ নির্বŸংশ করে দে’। একথা শুনে আম্বিয়ার ছোট ছেলে হাফিজুলের হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে ৪ বছরের শিশু ইমরানের মাথায়। মায়ের কোলেই শিশু ইমরান আঘাতের পর নিথর হয়ে পড়লে ডাইনী মহিলা আম্বিয়া খাতুন শিশু ইমরানকে তার মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে সজোরে আছাড় মারে। রাখে আল্লাহ মারে কে। এতো আঘাতের পরেও শিশু ইমরানকে তারা হত্যা করতে পারেনি। প্রচ- চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশু ইমরানসহ তার মা ও বাবাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুর পিতা সাহাজুল মোল্লার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘নিজেদের পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার মেঝ ভাই ও মা’র সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে খুঁজতে থাকে একপর্যায়ে তারা আমার উপর এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তারা আমার সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করলেও আল্লাহ রক্ষা করেছেন’। তিনি আরো বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী যখন আমার ছেলেকে রক্ষা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি তখন তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে প্রচ- মারধর করে এবং আমার ঘরের ভেতরে থাকা ব্যবহৃত আসবাবপত্র ভাংচুর করত: ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এসময় তারা আমার স্ত্রীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় ও শ্লীলতাহানি করে। পরে এলাকাবাসী আমাকেসহ ছেলেশিশু ইমরানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও আমার মা মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এব্যাপারে শিশু ইমরানের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে গেলে হিং¯্র মহিলা চিৎকার করে অকথ্য ভাষায় বলতে থাকে, হাসপাতালে আমাকে শায়েস্তা করতে গুন্ডা ভাড়া করে এনেছিস। এদিকে আয় তোরা আমার করবি কর। তোরা আমার ছবি তুললি কেন? আমার …. ছেড়ার ক্ষমতাও তোদের নেই। সব ক‘টাকে আমি দেখে নেবো। আমি সব গুছিয়েই হাসপাতালে এসেছি। এব্যাপারে শিশু ইমরানের মা বলেন, হাসপাতালে আমার অবুঝ ছেলেটি ওর দাদীর চিৎকার চেঁচামেচিতে আঁৎকে উঠেছে আর ৪/৫ বার বমিও করেছে। আপনাদের হাতে ধরি আপনারা তাড়াতাড়ি চলে যান। শুধু আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেনে -ওযেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আমার ঘর আলোকিত করতে পারে।